Advertisement
Advertisement

Breaking News

Personal Finance

রিয়েল এস্টেটকে করুন নিজের পোর্টফোলিওর অংশ

বাংলার টায়ার টু সেন্টারগুলিতে রিয়েল এস্টেটের কী ভবিষ্যৎ?

Investing in real estate a good idea | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 14, 2022 1:56 pm
  • Updated:February 14, 2022 1:56 pm  

চাহিদায় ঘাটতি তো নেই-ই, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরাঞ্চলে রিয়েল এস্টেটের চাহিদা এবং প্রসার বেড়েই চলেছে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ির মতো জায়গার সারাবছরই ‘ডিমান্ড’ থাকে ‘হাই’। ‘সঞ্চয়’-এর আমন্ত্রণে সবিস্তার জানালেন প্রাইমার্ক প্রোজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ পানসারি

 

Advertisement

কোন কোন বিষয় ভবিষ্যতে রিয়েল এস্টেট শিল্পে বিকাশ ত্বরান্বিত করতে সক্ষম?
কম সুদের হার এবং ‘প্রাইস স্টেবিলিটি’র মতো বিষয়গুলিই আমার মতে আগামিদিনে রিয়েল এস্টেটকে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করবে।

রিয়েল এস্টেটে যাঁরা নতুন এসেছেন, সেই নতুন লগ্নিকারীদের বাজারকে কীভাবে দেখা উচিত?      মধ্যমেয়াদে কেমন রিটার্ন আসতে পারে? নতুন বিনিয়োগকারীদের উচিত, বাজারকে প্রধানত ‘এন্ড ইউজার্স মার্কেট’ হিসাবে দেখা। ২০২১ সালটা ভারতে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বিকাশের ইতিবাচক বার্তা দিয়েছিল, এই ক্ষেত্রটির এক সোনালি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০২২ সাল সেই সম্ভাবনাকেই আরও, আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করার এটাই আদর্শ সময়। সঠিক পরামর্শদাতার মাধ্যমে সঠিক ‘প্রপার্টি’ নির্বাচন করুন। আমরা নিশ্চিত, যে লগ্নিকারীরা দীর্ঘমেয়াদে সুনিশ্চিতভাবেই বড়সড় রিটার্ন পাবেন। আর তাঁদের আগামীও সুন্দর হবে।

[আরও পড়ুন: নতুন বছরে কোন পথে বাজার, কী আশা করতে পারেন রিটেল ইনভেস্টররা]

কোনও লগ্নিকারী যদি আজ তাঁর অ্যাসেট অ্যালোকেশন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে চান, তাহলে তাঁর পোর্টফোলিওতে রিয়েল এস্টেট কী ভূমিকা নিতে পারে?
প্রত্যেক লগ্নিকারীর অ্যাসেট অ্যালোকেশন স্ট্র‌্যাটেজি ভিন্ন ভিন্ন হয় কারণ প্রত্যেকটি মানুষ ভিন্ন, তাঁদের প্রত্যাশাও ভিন্ন। অ্যাসেট অ্যালোকেশন স্ট্র‌্যাটেজি এই সব কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে দীর্ঘমেয়াদে ভাবতে গেলে, রিয়েল এস্টেট প্রত্যেক লগ্নিকারীরই পছন্দের তালিকায় থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। সাময়িক কিছু ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে রিয়েল এস্টেট শিল্প পুনরায় ছন্দে ফিরেছে, যেমনটা আমরা সকলেই ২০২১ সালে দেখেছি। একদিকে জনঘনত্ব বেড়েই চলেছে ঠিকই কিন্তু জমির যোগান তো সীমিত। কাজেই, ঘরবাড়ির চাহিদাও বাড়তে বাধ্য এবং রিয়েল এস্টেট থেকে যে রিটার্ন আসছে, তার অঙ্কও দীর্ঘমেয়াদে আরও, আরও বাড়বে বলেই আমার ধারণা।

আগামিদিনে রিয়েল এস্টেট কোন কোন বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে পারে? এমন কোনও চ্যালেঞ্জের কথা বলুন, যার মোকাবিলা সর্বাগ্রে করা প্রয়োজন?
মূল্য বৃদ্ধি। সাম্প্রতিক ভবিষ্যতে আমরা যে ধরনের বাধার মুখে পড়তে পারি, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল মূল্য বৃদ্ধি। এর কারণ আমরা কঁাচামালের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, বিশেষ করে স্টিল এবং অন্য সমস্ত ধাতব সম্পদের। এর ফলে ডেভলপাররা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। তবে ‘ক্রেডাই’ এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে মাঠে নেমেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে তাদের। যদি এই সমস্যার মোকাবিলায় কোনও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ না নেওয়া যায়, তাহলে পরবর্তীকালে এই দামবৃদ্ধির বোঝা ক্রেতারই ঘাড়ে গিয়ে পড়বে।

বাংলার টায়ার টু সেন্টারগুলিতে রিয়েল এস্টেটের কী ভবিষ্যৎ দেখছেন? (কোনও পরিসংখ্যান থাকলে ট্রেন্ড বোঝা যেতে পারে)
শহরের দিকে চাহিদা সবসময়ই ঊর্ধ্বমুখী। যেমন দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি। এই সব আর্বান এরিয়ার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। এখানে সারাবছর চাহিদা থাকে।

নির্দিষ্টভাবে রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাভজনক সাব্যস্ত হয়েছে, এ রাজ্যে এমন কোনও উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে চান?
অবশ্যই। বাংলায় দারুণ গতিতে শিল্পায়ন হয়েছে, আইটি/আইটিইএস-এর ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশ হয়েছে। এ সবের জেরেই আগামিদিনে লজিস্টিক সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়তা বজায় রাখা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়। সম্মিলিতভাবে এই সমস্ত কিছুর জন্য রিয়েল এস্টেট শিল্পেও স্থায়ী চাহিদা ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।

[আরও পড়ুন: হোম লোনে পিএনবি-র নয়া চমক, গড়ে তুলুন স্বপ্নের ঘর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement