ছবি: প্রতীকী
সোনার বাজার যে কিছুটা হলেও টালমাটাল, সে কথা সর্বজনবিদিত। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে আশার বাণী শোনাল ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। তাঁদের মতে, অনিশ্চয়তা আরও কিছুকাল স্থায়ী হবে। তবে সোনার জয়যাত্রা থামবে না। সেই ধারণা মাথায় রেখেই যেন এগোন গ্রাহকরা, জানাল টিম সঞ্চয়।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল সোনার বাজারে সর্বশেষ পরিস্থিতির ব্যাপারে বিশদে জানাল। ডিসেম্বর মাসের শেষের তথ্যের ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে ইনফ্লেশন তথা মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যাংক নিয়ন্ত্রকের নীতির পরিপ্রেক্ষিতে গোল্ড মার্কেটের সাম্প্রতিক ট্রেন্ড আরও কিছুকাল জারি থাকবে। তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট রিস্কও আছে, অন্তত আগামী এক বছর এগুলি নিয়ে যেন সতর্ক থাকেন লগ্নিকারীরা। মোটের উপর এই মুহূর্তে মার্কেটে যা অবস্থা, তা হল ‘স্টেবেল উইথ আ পজিটিভ বায়াস’। অর্থাৎ, কাউন্সিলের মতে কিছু অনিশ্চয়তা তো থাকছেই, এবং অস্থিরতার জন্য যেন প্রস্তুত থাকেন বিনিয়োগকারীরা।
গত এক বছরের দ্রষ্টব্য:
১.বিগত ২০২২ সালে স্বল্প গেনস হয়েছে সোনার। স্বল্প হলেও তা নজরকাড়া, কারণ নেপথ্যে আছে রেট বৃদ্ধি এবং আমেরিকান ডলারে পরিবর্তন।
২.মার্কেটে সার্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও, সোনা কিন্তু তেমন নিরাশ করেনি বিনিয়োগকারীদের।
৩.প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদা খুব বেশি বাড়েনি, তবে রিটেল লগ্নির ভারে তা ছাপিয়ে গিয়েছে। বিশ্বজোড়া অস্থিরতাই এই ট্রেন্ডের প্রধান কারণ।
গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) যাঁরা লগ্নি করেন, তাঁদের কাছে গত বছরের ট্রেন্ড খুব তাৎপর্যপূর্ণ। টানা আট মাস ‘নেগেটিভ ডিমান্ড’ লক্ষ্য করেছেন গোল্ড কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। তবে ‘আউটফ্লো’র গতি তেমন দ্রুত হয়নি, তাও বলা হচ্ছে। মোট নেট আউটফ্লো ছিল তিন বিলিয়ন ডলার গত এক বছরের শেষে। গ্লোবাল হোল্ডিংয়ের হিসাবে উত্তর আমেরিকা, ইওরোপ এবং এশিয়া, তিন প্রধান বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই পতন দেখা গিয়েছিল বলে জানানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.