Advertisement
Advertisement

Breaking News

Personal Finance

মিস্টার ফিটনেস, মিস স্ট্যামিনা স্বাস্থ্য-সচেতন গ্রাহকের চয়েস আদিত্য বিড়লা অ্যাক্টিভ ওয়ান

কী কী সুবিধা পেতে পারেন?

Here are a few tips before choosing health insurance

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 13, 2024 9:30 pm
  • Updated:March 13, 2024 9:31 pm  

আপনি এবং আপনার পরিবার কি অতিমাত্রায় ‘ফিটনেস’ সচেতন? তাহলে বিমা চয়নের ক্ষেত্রে ‘ফিটনেস’ দেখান না কেন? আদিত‌্য বিড়লার অ‌্যাক্টিভ ওয়ান স্কিম বেছে নিন এখনই। সাত-সাতটি ‘ক্রনিক’ ব‌্যাধি মোকাবিলার খরচ যেমন মিলবে সুলভে, তেমনই দিনে ২৮ ঘন্টাই পাবেন অ‌্যাপ-পরিষেবা। আর কী কী সুবিধা পেতে পারেন?

১. বিচক্ষণ গ্রাহক ‘অ‌্যাক্টিভ ওয়ান’ কেন বেছে নেবেন?

Advertisement

২০১৬ সালে যাত্রাশুরুর সময় থেকেই আদিত‌্য বিড়লা হেলথ ইনসিওরেন্স তার গ্রাহক তথা পলিসিহোল্ডারদের স্বাস্থ‌্যকর এবং সমৃদ্ধ জীবন দেওয়ার অঙ্গীকার পালন করে এসেছে। গ্রাহকদের নতুন কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, পরিকল্পনা করতে করতে আমরা চারটি কারণ খুঁজে পেয়েছি, যার জন‌্য এখনও আমাদের দেশের জনসংখ‌্যার একটা বড় অংশ স্বাস্থ‌্য বিমা কিনতে গিয়ে দ্বন্দ্বে ভোগে।

ক) সচেতনতার অভাব–নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের মানুষ স্বাস্থ‌্য বিমায় উল্লেখিত ভাষা সহজে বোঝেন না। ভাষা তাঁদের জটিল মনে হয়। 
খ) প্রাসঙ্গিকতা অবোধগম‌্য–জরুরি বৈশিষ্ট‌্য থাকে না, বিকল্পগুলো বিভ্রান্তিকর হয়। 
গ) সাশ্রয়ী নয়–মূল‌্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশির দিকে।
ঘ) অভিজ্ঞতা অপর্যাপ্ত–অনভিজ্ঞতা ভুলত্রুটি ডেকে আনে।
এই সব সমস‌্যার কথা মাথায় রেখেই সমাধানসূত্র হিসাবে আমাদের উপহার–অ‌্যাক্টিভ ওয়ান। এক গুচ্ছ সুবিধা মিলবে। যেমন ১০০% হেলথরিটার্নস, ‘নো ক‌্যাপিং অন এক্সপেন্স’, হাসপাতাল খরচের উপর কোনও সাব লিমিট নেই, সুপার রিলোড এবং সুপার ক্রেডিট প্রভৃতি। রয়েছে ডিজিটাল হেলথ অ‌্যাসেসমেন্টের সুবিধাও। অ‌্যাক্টিভ ওয়ান আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। আমরা বলি, এতে আপনারা পাবেন ১০০% স্বাস্থ‌্য এবং ১০০% বিমা। 

[আরও পড়ুন: নিশ্চিত ইনকামের সঙ্গে লাইফ কভার! এডেলওয়াইস টোকিও লাইফ দিচ্ছে জোড়া সুবিধা]

২. ভবিষ‌্যতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় পলিসির ক্ষেত্রে কী হতে চলেছে? এই নিয়ে আদিত‌্য বিড়লা হেলথ ইনসিওরেন্সের যে কোনও একটি প্ল‌্যানের কথা জানান।

আমরা সব সময়ই ‘হেলথ ফার্স্ট’ অর্থাৎ ‘স্বাস্থ‌্য সবার আগে’ মানসিকতা নিয়ে এগোই। আমাদের মন্ত্র হল–‘নো ইওর হেলথ, ইমপ্রুভ ইওর হেলথ, গেট রিওয়ার্ডেড’। মানে নিজের স্বাস্থে‌্যর পরিস্থিতি জানুন, স্বাস্থে‌্যর উন্নতি করুন এবং পুরস্কৃত হোন। আমাদের অ‌্যাক্টিভ ওয়ান পরিষেবায় রয়েছে জিরো ওয়েটিং পিরিয়ড। এখানে সাতটি ‘ক্রনিক’ ব‌্যধি যেমন অ‌্যাস্থমা, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরল, ডায়াবিটিস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, স্থূলতা এবং করোনারি আর্টারি ডিজিজ। আমাদের হেলথ কোচেস পরিষেবাও আছে। সেখানে আমাদের নিজস্ব ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট, নিউট্রিশনিস্ট, সাইকোলজিস্টরা আছেন। আমাদের অ‌্যাক্টিভ হেলথ অ‌্যাপের মাধ‌্যমে ৯৪% গ্রাহকরা আমাদের ডিজিটাল পরিষেবা পান। এখনও পর্যন্ত আমরা ১.২৮ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহককে বিমার মাধ‌্যমে স্বাস্থ‌্য পরিষেবা দিয়েছি।

৩. ক্লেমস সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে ইনসিওরেন্স রেগুলেটর সম্প্রতি যে পলিসি নিয়েছে, সে বিষয়ে আপনার কী অভিমত?

যে কোনও গ্রাহকের পক্ষেই ক্লেমস এক্সপিরিয়েন্স অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতি-সম্প্রতি সরকার এবং বিমা নিয়ন্ত্রকের তরফে গ্রাহকদের সুবিধার্থে ক্লেমস প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন স্বাস্থ‌্য বিমা পলিসিহোল্ডারদের জন‌্য ‘সিমপ্লিফায়েড কাস্টমার ইনফর্মেশন শিটস’ (এসআইএস)-এর প্রবর্তন। এছাড়াও আইআরডিএআই-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘কমন’ ক‌্যাশলেস হসপিটাল নেটওয়ার্ক। সব ধরনের স্বাস্থ‌্য বিমা পলিসিতেই এই সুবিধা মিলবে।
আমাদের আদিত‌্য বিড়লা হেলথ ইনসিওরেন্স-এ আমরা দেশজুড়ে গ্রাহকদের ১০০% নগদহীন পরিষেবা দিয়ে থাকি। যে কোনও পলিসিহোল্ডার যে কোনও রেজিস্টার্ড হাসপাতাল থেকে এর মাধ‌্যমে নগদহীন চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। শুধু একটা কাজ করতে হবে। ‘প্ল‌্যান্‌ড হসপিটালাইজেশন’ যদি হয়, সেক্ষেত্রে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করার ৪৮ ঘণ্টা আগে আমাদের জানাতে হবে।
বিমাক্ষেত্রে জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। তবে রুখতে বেশ কিছু ব‌্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রয়েছে ‘বিমা সতর্ক’ পরিষেবা। ন‌্যাশনাল হেলথ ক্লেম এক্সচেঞ্জও কাজ করছে।

৪. কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিমা ক্ষেত্রে কী কী নতুন ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে?

কোভিডকাল শেষ হওয়ার পর পরই আমরা একটি সমীক্ষা করেছিলাম। ‘নিউ হেলথ নর্ম‌্যাল’। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে গ্রাহকরা নিজেদের স্বাস্থ‌্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে অনেক, অনেক বেশি সচেতন। ৮৪% মানুষ বিশ্বাস করেন, কোভিড-উত্তর সময়ে তঁাদের স্বাস্থে‌্যর প্রতি সচেতনতা বেড়েছে। অন্তত ৫২% মানুষ মেডিক‌্যাল এমার্জেন্সির কথা ভেবে টাকা জমান বলে জানিয়েছেন। 
সমীক্ষায় যে ট্রেন্ডগুলো দেখা গিয়েছে, তা হল–

  • অতিমারীর পরে স্বাস্থ‌্যবিমা কেনার হার বেড়েছে।
  • মানুষের মধ্যে ‘স্বাস্থ‌্য সবার আগে’–এই সচেতনতার প্রসার বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • বিমার ডিজিটাইজেশন এবং অনলাইন ক্রয় বেড়েছে।
  • টেলিমেডিসিন পরিষেবা, অতিমারী সংক্রান্ত কভারেজ, পার্সোনালাইজড হেলথ প‌্যাকেজের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন গ্রাহকরা।
  • বিমাকে আরও সহজলভ‌্য করে তুলতে সরকারের তরফেও একাধিক উদে‌্যাগ নেওয়া হয়েছে।
  • হেলথ অ‌্যাপের ব‌্যবহার বেড়েছে। যেমন আমাদের অ‌্যাক্টিভ হেলথ অ‌্যাপ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement