Advertisement
Advertisement

Breaking News

Personal Finance

‘ডাব্বা ট্রেডিং’ থেকে সাবধান, লগ্নি করার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

শেয়ার ব্যবসায় অবৈধ মাধ্যাম ব্যবহারকে বলা হয় ডাব্বা ট্রেডিং।

Beware of illegal trading platform on share market | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 8, 2023 2:34 pm
  • Updated:May 9, 2023 11:19 am  

শেয়ার ব‌্যবসায় অবৈধ মাধ‌্যম ব‌্যবহারকে (ইংরেজিতে যা illegal trading platform নামে পরিচিত) বাজারের পরিভাষায় অনেক সময় বলা হয় ডাব্বা ট্রেডিং। লগ্নিকারীদের উদ্দেশে ন‌্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের পরামর্শ-এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। এই ধরনের কোনও স্কিম বা প্রোডাক্ট, যা স্টক মার্কেটে গ‌্যারান্টিড রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয়-একেবারেই বৈধ নয়। লগ্নিকারীরা যেন নিজেদের ট্রেডিং সংক্রান্ত প্রামাণ‌্য নথি যেমন আইডি/পাসওয়ার্ড প্রভৃতি কারও সঙ্গে শেয়ার না করেন। ট্রেডিং করার আগে দেখে নেবেন, সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট ব‌্যক্তি ন‌্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-এর নথিবদ্ধ কি না।

সিকিউরিটিস কনট্র্যাক্টস (রেগুলেশন) অ‌্যাক্ট, ১৯৫৬ (এসসিআরএ)-এর ২৩ (১) ধারা অনুযায়ী কোনও ব‌্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি এসসিআরএ-র ১৩, ১৬, ১৭ বা ১৯ ধারা লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হবে। যদি বিচারে সে দোষী সাব‌্যস্ত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ কোটি টাকা জরিমানা কিংবা, উভয়ই প্রযোজ‌্য হতে পারে। এসসিআরএ-র ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ২৩ নম্বর ধারার আওতাভুক্ত কোনও অপরাধ ‘কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ১৯৭৩’-এ পড়ে। আর তার তদন্ত করার অধিকার থাকে রাজ্যের তদন্তকারী কর্তৃপক্ষেরও। এছাড়াও ‘ডাব্বা ট্রেডিং’ ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৭০-এর ধারা নম্বর ৪০৬, ৪২০ এবং ১২০ (খ)-এর আওতাতেও পড়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেয়ার কেনার আগেই বিক্রি করে মুনাফার সুযোগ, কী এই শর্ট সেলিং?]

সেই কারণেই লগ্নিকারীদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং এই মর্মে হুঁশিয়ার করা হচ্ছে, এই ধরনের অবৈধ ট্রেডিং প্ল‌্যাটফর্ম অর্থাৎ ব‌্যবসার মাধ‌্যম থেকে যেন দূরে থাকেন। যদি এর খপ্পরে পড়েন, তাহলে বিপদ লগ্নিকারীর নিজেরই। পড়তে হতে পারে বিপুল ক্ষতির মুখে, কারণ এই ধরনের বেআইনি ট্রেডিং প্ল‌্যাটফর্মগুলিকে ন‌্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের তরফে কোনও ধরনের অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। আর কোনওভাবে সমর্থনও করা হয়নি।

লগ্নিকারীরা মনে রাখবেন, এমন কোনও বেআইনি কার্যকলাপে যদি জড়িয়ে পড়েন, তাহলে নিম্নলিখিত সুযোগ-সুবিধাগুলি থেকেও বঞ্চিত হবেন।
১. এক্সচেঞ্জের আওতাভুক্ত ইনভেস্টর প্রোটেকশন-এর সুবিধা।
২. এক্সচেঞ্জের বিবাদ নিরসন সংক্রান্ত সুবিধা।
৩. এক্সচেঞ্জের তত্ত্বাবধানে থাকা লগ্নিকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করার সুবিধা।

[আরও পড়ুন: মাথায় রাখুন বাজারের ঝুঁকির দিক, লগ্নি নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ বিশেষজ্ঞের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement