সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বিজেপির নির্বাচনী সভায় অসুস্থ হয়ে কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও তপ্ত মতুয়া অধ্যুষিত গাইঘাটা। বিরোধী দলনেতার সভায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হারাধন বিশ্বাস নামে বছর আটষট্টির এক বৃদ্ধের। আর এনিয়ে বিরোধী দলনেতার ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ এবং ‘অপরাধমূলক মানসিকতা’ নিয়ে টুইটে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এর সঙ্গে তিনি তুলনায় করেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার। সেখানে কম্বল বিতরণ করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্বভাবতই তৃণমূলের তিরে বিদ্ধ হন তিনিও।
টুইটে (Tweet) কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনা একেবারেই শুভেন্দু অধিকারীর উদাসীনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। তিনি আগেই জানতেন যে প্রবল গরম আর তৃষ্ণায় ওই বৃদ্ধ মানুষটি অসুস্থ বোধ করছেন এবং সভার ভিড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেননি। এরপর অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে।
Yesterday, LoP @SuvenduWB‘s event at Panchpota High School Ground, Shutia, Gaighata, turned into a death trap!
An elderly man fell sick during the public meeting and was taken to Bangaon hospital where he was declared dead upon arrival. Earlier, Mr. Adhikari himself acknowledged…
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 2, 2023
শনিবার গাইঘাটার ওই সভায় এমন দুর্ঘটনার পর বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বিরোধী দলনেতাকে হাসপাতালে যাওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তাতে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তিনি হাসপাতালে কিংবা মৃত কর্মীর বাড়িতে না গিয়ে সোজা সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে৷ কেন বিরোধী দলনেতা একবার আসতে পারলেন না হাসপাতালে? এই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। মৃতের পরিবারও শুভেন্দু অধিকারীর এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কীভাবে মৃত্যু হল হারাধন বিশ্বাসের, তা নিয়ে যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.