সুদীপ রায়চৌধুরী: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote 2023)কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে এনিয়ে। শুধু ভোটের সময়েই নয়, গণনা ও ফলপ্রকাশের পরও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবিতে শুক্রবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার এই সংক্রান্ত সমস্ত বিতর্ক এড়াতে রাজ্যে বাহিনীর জওয়ানরা পা রাখামাত্রই জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Force) বসিয়ে রাখা চলবে না। ঠিকমতো ব্যবহার করতে হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রে খবর, প্রথম দফায় যে ২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগটাই শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হুগলির একাধিক জায়গায় তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন। রাতে আরও বাহিনী রাজ্যে পা রাখতেই কমিশনের তরফে জেলাশাসকদের নির্দেশিকা পাঠানো হল। তাতে স্পষ্ট নির্দেশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যেন ব্যবহার করা হয়। রুট মার্চ, এরিয়া ডমিনেশনের কাজ করানো হোক। কোনওভাবেই যাতে জওয়ানরা বসে না থাকেন, তা দেখতে হবে জেলাশাসকদেরই।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আইনি জটিলতা হয়েছে অনেক। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ায় আপাতত মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এরপর রাজ্যে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসতে শুরু করেছেন।
এর আগে নির্বাচনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আওতায় হলেও অভিযোগ উঠত, বাহিনীকে ভোটের দিন বা তার আগে-পরে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। কোথাও রাজনৈতিক অশান্তি হলে স্থানীয় থানার ওসি জওয়ানদের কাজের সুযোগ দেন না, এই অভিযোগও ছিল বিস্তর। এবার সেসব বিতর্ক এড়াতে বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে বাহিনী নিয়ে যে জলঘোলা হল, সেই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসা মাত্র কাজে লাগাতে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.