সুদীপ রায়চৌধুরী: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। শেষ মুহূর্তেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সবকটি বুথে সময়মতো জওয়ানরা পৌঁছতে পারেননি বলে অভিযোগও উঠেছে। শনিবার, ভোটের দিন বিভিন্ন জেলার বুথগুলি থেকে সংঘর্ষের খবরাখবর মিলেছিল। প্রাণহানিও হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এসবের দায় কার? তা নিয়েও তরজা অব্যাহত। মঙ্গলবার ভোটগণনার দিনও বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাহিনী (Central Force) মোতায়েন কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাকেই দায়ী করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
গণনার দিন বিকেল নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কেন্দ্রের কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনাই ছিল না। তারা গড়ে বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও স্পর্শকাতর বুথে জওয়ানদের পৌঁছে দিতে তেমন তৎপরতা দেখা দেয়নি। এ বিষয়ে বিএসএফের (BSF) ডিজি দাবি করেছিলেন, কমিশনারের কাছে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিলেন রাজীব সিনহা।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ”বারবার বলা হয়েছিল, স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করতেই হবে। সেইমতো ব্যবস্থা করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্তও বিএসএফের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। বারবার আমরা মিটিং করেছি। আমি বলেছি, কোন জেলার কোন স্পর্শকাতর বুথ আছে, তা ডিএম, এসপির কাছে জেনে নিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, অনেক বুথেই জওয়ান পৌঁছননি ঠিকমতো। আর ওঁরা যে দাবি করছেন, তা ভুল। যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকাই না পান, তাহলে দিনশেষে বেশিরভাগ স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হল কীভাবে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.