Advertisement
Advertisement
Paris Olympics 2024

অলিম্পিকে অব্যবস্থা, গেমস ভিলেজে নেই খাবার, ইভেন্টে জল পাচ্ছেন না ভারতীয় অ্যাথলিটরা

অভুক্ত অবস্থায় প্রায় কুড়ি-পঁচিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে অ্যাথলিটদের।

Paris Olympics 2024: Bad arrangements in Games Village

প্রতীকী ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 1, 2024 4:15 pm
  • Updated:August 1, 2024 4:57 pm

বোরিয়া মজুমদার, প্যারিস: প‌্যারিস অলিম্পিকের সবে দিন কয়েক হয়েছে। এখনও প্রায় দিন দশেক বাকি ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর। কিন্তু তারই মধ‌্যে খাবারদাবার এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল অলিম্পিক। গেমস ভিলেজে খাবারদাবারের যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তা নিয়ে অসন্তুষ্ট অধিকাংশ ভারতীয় অ‌্যাথলিট। এঁদের অভিযোগ হল, গেমস ভিলেজে খাবার নিতে গেলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্লেট হাতে খাবার লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাঁরা জানতে পারছেন যে, খাবার শেষ! এবং সঙ্গে সঙ্গে খাবারের ট্রে ভর্তি করাও হচ্ছে না! লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে! এক অ‌্যাথলিট বললেন যে, অভুক্ত অবস্থায় প্রায় কুড়ি-পঁচিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তার পর গিয়ে দেখা যাচ্ছে, খাবার শেষ! কেউ কেউ তো প্রায় প্রতিদিন বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে ক্ষুধা মেটাচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: ভারতের সেরা বোলার জশপ্রীত বুমরাহ, কিন্তু ব্যাটার? কী বলছেন ধোনি?]

যাঁর কথা উপরে লিখলাম, তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। কিন্তু ভারতীয় টেনিস প্লেয়ার সুমিত নাগালের ও সমস্ত রাখঢাকের ব‌্যাপার নেই। তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘‘অলিম্পিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ইভেন্ট। সেখানে এ ধরনের অব‌্যবস্থা মোটেও প্রত‌্যাশিত নয়। বরং সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধেই তো থাকা উচিত অলিম্পিকে। আমরা তো আর রাজার হালে রাখতে বলছি না। সাধারণ জিনিসপত্রের প্রত‌্যাশা রাখছি। কিন্তু খাবার পেতে গেলে আমাদের বিশাল লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা কী করে হতে পারে?’’ শুটিংয়েও চরম অব‌্যবস্থা। প্রচণ্ড গরমে অনেক সময়ই শুটাররা পানীয় জল পাচ্ছেন না। পঁয়ত্রিশ ডিগ্রি গরমে তেষ্টা নিয়ে তাঁদের খেলতে হচ্ছে। খাবারও ভালো নয় মোটে। বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করছেন অধিকাংশ ভারতীয় অ‌্যাথলিটরা। ইভেন্টের সময়ও জল-খাবার পাচ্ছেন না শুটাররা। ওয়াশরুমের অবস্থাও বেহাল।

Advertisement

দাঁড়ান, আরও আছে। যাতায়াত এই মুহূর্তে প‌্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) সবচেয়ে বড় সমস‌্যা। মিডিয়ার যাতায়াতের জন‌্য বাসই ভরসা। কিন্তু যে সময় বাস অর্ধেক সময়ই এক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে বাস। কখনও কখনও তো সময়ে ইভেন্টে পৌঁছতে ট্রেন নিতে হচ্ছে ভারতীয় সাংবাদিকদের। সেখানে আবার স্বেচ্ছাসেবকও থাকছে না কোনও। তার উপর ভাষাগত সমস‌্যা। ফরাসিরা পারতপক্ষে ইংরেজি বলতে চান না। বিদেশি সাংবাদিকরা তা হলে করবেন কী?

[আরও পড়ুন: আরও দুবছর সবুজ-মেরুনে সোনার বল জয়ী পেত্রাতোস, সই করে বললেন, ‘জয় মোহনবাগান’

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement