সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝে বেরিয়েছিলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনতে। কমপক্ষে বাড়ির লোকজনদের সেকথা বলেই বেরিয়েছিলেন যুবক। মা ভেবেছিলেন ছেলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়েই ফিরবেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরই চক্ষু চড়কগাছ উত্তরপ্রদেশের ওই যুবকের মায়ের। ছেলের উপর এতটাই রেগে যান যে সোজা থানায় ছুটে যান তিনি।
কিন্তু কী এমন করলেন ওই মহিলার ছেলে? যুবকের মা জানান, তাঁর ছেলে সকালবেলা বাড়িতে জানান কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী বাড়ি থেকে বেরোয়। বেশ কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরে। তখন মহিলা দেখেন যুবকের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নেই। পরিবর্তে রয়েছেন নববধূর বেশে একজন তরুণী। ছেলের কাছ থেকে তাঁর পরিচয় জানতে চান ওই মহিলা। তিনি জানান, ওই তরুণীকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন তিনি। দাবি করেন, সেই অনুযায়ী ওই তরুণী তাঁর স্ত্রী। এবং এটাই তরুণীর শ্বশুরবাড়ি। তবে আচমকা এমন কাউকে কিছু না জানিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নন। তাই ওই তরুণীকে ছেলের স্ত্রী হিসাবে ঘরে ঢুকতে দেননি তিনি। পরিবর্তে দু’জনকে নিয়ে সোজা থানায় হাজির হন।
একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, মুখে মাস্ক পরে থানার সামনে একটি চেয়ারে বসে রয়েছেন তিনি। বেশ খানিকটা দূরে ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নববধূ। পাশে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে তাঁর স্বামী। মহিলার দাবি, বিয়ের কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি তাঁর ছেলে। এমনকী কোন পুরোহিত তাঁর বিয়ে দিয়েছেন, তাও বলতে পারছেন না ওই যুবক। এই সমস্ত নানা প্রশ্নের উত্তর না পেলে যুবককে কিছুতেই নববধূ নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না বলেই ধনুকভাঙা পণ মহিলার। অগ্নিশর্মা মায়ের কাণ্ডকারখানা থেকে অবাক পুলিশকর্মী এবং প্রতিবেশী প্রায় সকলেই।
Mother sent son to buy grocery, he returned with a bride. Mom didn’t allow them to enter the house, took them to police station. Couple has no proof that they got married. The priest who got them married told them he can give a certificate only after the lockdown. 😀#UP ki batein pic.twitter.com/MPQG1MQaQY
— Smita Prakash (@smitaprakash) April 29, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.