সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখের সামনে ধরা পানপাতা। কপালে চন্দন, লাল টুকটুকে বেনারসিতে সেজে কনে। বাঙালি বিয়ের রীতি মেনে পিঁড়িতেই বরের চারদিকে প্রদক্ষিণ করছেন। এই অবধি ঠিক ছিল। তবে নজর আটকাল অন্য বিষয়ে। কনের পিঁড়ি ধরেছেন একদল মহিলা। না, রীতি অনুযায়ী পুরুষরা নন। যাঁরা সাধারণত ‘বলশালী’ বলেই সামাজের এই ধরনের রীতিতে পিঁড়ি ধরার নিয়মের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছিলেন। এবার সে প্রচলিত রীতিকেই ভাঙার সাহস দেখালেন একদল মহিলা। শুভদৃষ্টি হল একটু ভিন্ন ভাবে।
বাঙালি আচার রীতিনীতি অনুযায়ী ভাই-দাদাদের ধরা পিঁড়িতে বসেই সাত পাকে ঘোরেন কনে। সাধারণত সেই দৃশ্যই তো আমাদের চোখে পড়ে। তবে সম্প্রতি, এই রীতিনীতির বাইরে গিয়ে নজির গড়লেন কল্যাণীর পাত্রীপক্ষ। ভাই-দাদা নয়, বরং দিদি-বোনেদের ধরা পিঁডিতে বসেই বরের চারদিকে সাত বার ঘুরলেন কনে। যে ঘটনার ভিডিও করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। যা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণীতে। কনের নাম পৌলমী। পৌলমী আদতে কল্যাণীরই বাসিন্দা। পাত্র দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীর বাসিন্দা। নাম অভিরূপ।
সম্প্রতি অভিরূপ-পৌলমীর চার হাত এক হয়েছে। বিয়ের দিন কনের বেশে যখন পৌলমী বিবাহ আসরে প্রবেশ করলেন, তাঁর ফিল্মি এন্ট্রি দেখে কিন্তু অনেকের চক্ষুই চড়ক গাছ হয়েছে। এ আবার কী রে বাবা! সাধারণত, আমরা তো কনেকে ভাই-দাদা কিংবা জামাইবাবুদের ধরা পিঁড়িতেই আসর অবধি আসতে দেখেছি, এ কী নতুন নিয়ম! উপস্থিত আমন্ত্রিতদের মনে যে তখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, তা বলাই যায়! তবে সবটাই স্পোর্টিংলি নিয়েছেন বাড়ির লোকেরা। পিঁড়ি ধরেছিলেন কনের দিদি-বউদি এবং বান্ধবীরা। সেই মহিলা ব্রিগেডই অতি যত্নে বরের চারদিকে পাক খাওয়ালেন কনেকে। রীতি মেনে পালন করলেন বিয়ের সব আচার। এভাবেই সম্পন্ন হল ওঁদের শুভদৃষ্টি।
কলকাতার একটি ওয়েডিং ফটোগ্রাফি গ্রুপ শেয়ার করতেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। নেটিজেনরা তাতে বাহবাও দিয়েছেন। কেউ বা আবার নিজেদের ‘গার্ল গ্যাং’-এর কাছে আবদার রেখেছেন তাঁদের বিয়ের দিনও যেন এমনটা হয়। যেন পুরনো রীতি বদলানোর ডাক দিল পৌলমীর মহিলা ব্রিগেড।
দেখুন সেই ভিডিও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.