সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম মানে না কোনও বাধা মানে, না কোনও ব্যবধান, মানে না কোনও সম্পর্কের বেড়াজাল। কখনও কখনও হয়তো কোনও কোনও প্রেমের সম্পর্ক সমাজের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে… কিন্তু প্রেম তো। তাতে তো সবই সম্ভব। প্রেমে সবই বৈধ, অবাধ্যতা আছে, কিন্তু অবৈধতা নেই। আজ জেনে নেওয়া যাক এমনই এক অবাধ্য প্রেমের গল্প।
রাশিয়ার (Russia) ক্রাসোন্দার ক্রাই (Krasnodar Krai) এলাকায় বেশ জনপ্রিয় নাম মারিনা ব্লামাশেভা (Marina Balmasheva)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ফলোয়ার তাঁর। বছর ৩৫-এর মারিনা সম্পর্কে নিজের থেকে ১৫ বছরের ছোট ভ্লাদিমিরের সৎ মা। ভ্লাদিমিরের বাবা আরের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে করেছিলেন এই সুন্দরী। এক দশকের ‘অসুখী’ দাম্পত্যের পর মারিনা বুঝতে পারেন, ‘নাহ তিনি কখনও আরে’কে ভালই বাসেননি’। তিনি ভালবেসেছেন সৎ ছেলে ভ্লাদিমিরকে। কবে কবে ভ্লাদিমিরও সৎ মা’কেই নিজের মনটা দিয়ে বসে আছেন। ব্যাস আর কী! তারপর বাবার অজান্তেই শুরু হয়ে যায় সৎ মা এবং ছেলের প্রেম। একে অপরের সঙ্গে শারীরিক-মানসিক সবদিক থেকেই জড়িয়ে যান মারিনা এবং ভ্লাদিমির। সেই প্রেম এবার গড়াল বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত।
নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গত সপ্তাহেই সৎ ছেলেকে বিয়ে করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন মারিনা। রেজিস্ট্রি অফিসে সই-সাবুদের পর রীতিমতো বিয়ের পোশাকে সেজে রিসেপশনেরও আয়োজন করেছেন মারিনা এবং তাঁর ১৫ বছরের ছোট ‘বর’। বেশ কিছু অতিথিও এসেছিলেন। বিয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মারিনা লিখছেন,”আমি আমার সত্যিকারের জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছি। ইচ্ছে ছিল এবছরের গোঁড়ার দিকেই বিয়েটা সেরে ফেলব। কিন্তু লকডাউনের জন্য সেটা হল না। গত সপ্তাহেই আমরা বিয়ে করেছি।” সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, মারিনা এবং ভ্লাদিমিরের এই বিয়ে মারিনার আগের স্বামী তথা ভ্লাদিমিরের বাবাও মেনে নিয়েছেন। অনেকে অবশ্য সৎ সন্তানের সঙ্গে মারিনার এই বিবাহের সম্পর্ক খোলামনে মানতে পারছেন না। কিন্তু তাতে কীই বা যায় আসে…। মিঞা–বিবি তো রাজি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.