Advertisement
Advertisement

Breaking News

Taj Mahal

৩ লক্ষ দেশলাই কাঠি দিয়ে তাজমহল গড়ে গিনেস বুকে নাম তুলতে চলেছেন নদিয়ার সহেলি

এর আগেও বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন এই তরুণী।

West Bengal: woman creates image of Taj Mahal using more than 3 lakh matchsticks | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 3, 2020 3:42 pm
  • Updated:October 3, 2020 3:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচজন সাধারণের থেকে একটু অন্যরকম কিছু করার ভাবনা মাথায় ঘোরে বছর বাইশের সহেলি পালের। আর তাঁর সৃষ্টি সুখের উল্লাসে জন্ম নেয় নতুন কাহিনি। যা অবাক করে গোটা বিশ্বকে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার এই তরুণী আস্ত একটি তাজমহল (Taj Mahal) তৈরি করে ফেলেছেন! সেই সৃষ্টির সৌজন্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে পারেন তিনি।

মুঘল সম্রাট শাহজাহান নিজের স্ত্রী মমতাজকে ভালবেসে তাঁর স্মৃতিতে তাজমহল বানিয়েছিলেন। সহেলিও তাজমহল গড়লেন। নতুন সৃষ্টির আনন্দে। কীভাবে? এক-দুই নয়, তিন লক্ষেরও বেশি দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে একেবারে হুবহু তাজমহলের ছবি বানিয়েছেন সহেলি। যার উচ্চতা ৬ ফুট আর চওড়ায় ৪ ফুট। সহেলি জানান, রাতের তাজমহলকে দেশলাই কাঠির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি দুটি রং ব্যবহার করেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১০ বছরেও ডেটিং অ্যাপে মেলেনি বান্ধবী, নিজেকেই ‘‌বিক্রি’র বিজ্ঞাপন দিলেন দুঃখে কাতর ব্যক্তি]

এর আগে ২০১৩ সালে ইরানের মেয়স্যাম রহমানি ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৫১টি দেশলাই কাঠি দিয়ে UNESCO-র লোগো তৈরি করে গিনেস বুকে (Guinness World Record) নাম তুলেছিলেন। সহেলির আশা, এবার সেই নামকে ছাপিয়ে নয়া বিশ্বরেকর্ডের মালকিন হবেন তিনি। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে নিজের কাজ শুরু করেন সহেলি। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে আগেভাগেই সমস্ত গাইডলাইন জেনে নিয়েছিলেন। সেই হিসেবেই কাজ এগোয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ তাজমহল গড়ে তার একটি ভিডিও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবার সুখবরের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন সহেলি ও তাঁর পরিবার।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮-তেও দুনিয়ার সবচেয়ে ছোট মাটির দুর্গা প্রতিমা গড়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। ২.৫৪ বাই ১.৯৩ বাই ০.৭৬ সেন্টিমিটার আয়তন ও ২.৩ গ্রাম ওজনের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন সহেলি। এবার তাঁর হাতে তৈরি তাজমহল নয়া নজির গড়ার অপেক্ষায়। আসলে পরিবারিক সূত্রেই এমন হাতের কাজের প্রতি ভালবাসা তাঁর। সহেলির বাবা ও ঠাকুরদা, দুজনই মূর্তি গড়ার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। সহেলি তাই বলছিলেন, “বাবা-ঠাকুরদার এই ঐতিহ্যই বয়ে নিয়ে যেতে চাই।” তাঁর সাফল্যের কামনায় প্রার্থনা করছেন পরিবারের লোকেরা।

[আরও পড়ুন: OMG! ১৫০ সন্তানের বাবা বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়, চলতি বছরেই জন্মেছে দশজন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement