সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাল নাম অ্যাম্বারগ্রিজ। চলতি কথায় তিমির বমি (Whale Vomit)। হ্যাঁ, শুনতে যত অদ্ভুতই লাগুক, অতিকায় তিমি মাছের মুখনিঃসৃত মোমজাতীয় এই পদার্থের দাম আকাশছোঁয়া। সম্প্রতি মাছ ধরতে গিযে এই তিমির বমি খুঁজে পেয়েই কোটিপতি হয়ে গেলেন ইয়েমেনের একদল মৎস্যজীবী। ১২৭ কেজির অ্যাম্বারগ্রিজ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৫ জন মৎস্যজীবীর দলটি দক্ষিণ ইয়েমেনের সেরিয়াহ উপকূলের কাছে এডেন উপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। সেই মাছ ধরার সময়ই বিরাট বড় একটি স্পার্ম হোয়েলের মৃতদেহ খুঁজে পান তাঁরা। সেই দেহাবশেষটি পরীক্ষা করেই মৎস্যজীবীরা দেখতে পান, সেটির দেহের ভিতরে রয়েছে বমি। যা দেখে মৎস্যজীবীরা বুঝতে পেরে যান যে, অমূল্য সম্পদ তাঁদের হাতে এসেছে। এই প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী বলেন, “আমরা তিমিটির মৃতদেহের কাছাকাছি যেতেই তীব্র গন্ধ নাকে পাই। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর তিমির মৃতদেহটি নিয়ে তীরে আসি। পেট কাটতেই দেখা যায়, ওর ভিতরে অ্যাম্বারগ্রিজ রয়েছে।”
সবমিলিয়ে ১২৭ কেজি ওজনের অ্যাম্বারগ্রিজ পায় ওই মৎস্যজীবীদের দলটি। যা বিক্রি করে অন্তত দশ কোটি টাকা পাওয়া যাবে, এমনটাই ধারণা তাঁদের। জানা গিয়েছে, পুরোটাই গোটা দলের মধ্যে ভাগ করা হবে। তবে কিছু পরিমাণ অর্থ গরিব মৎস্যজীবীদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে আকস্মিকভাবেই অনেক টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ওরা। কেউ পরিকল্পনা করছেন, এই টাকা দিয়ে বাড়ি বানাবেন, কেউ আবার বিয়ে করার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন। ঠিক কী এই অ্যাম্বারগ্রিজ? কেনই বা তার এমন আকাশছোঁয়া দাম? আসলে তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় জমাট এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় অতিকায় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, তা প্রসাধনী অর্থাৎ সাজগোজের জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। তৈরি হয় সুগন্ধী পারফিউমও। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর অসীম গুরুত্ব। তাই সব মিলিয়েই বাজারে তুঙ্গে রয়েছে এর চাহিদা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.