সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিখ্যাত হওয়ার লোভ, যেভাবেই হোক ভাইরাল হতে হবে। তারই মাশুল গুনলেন কর্ণাটকের (Karnataka) এক যুবক। ক্যামেরার সামনে তিনটি গোখরো সাপ নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়ে বিষধরের ছোবল খেলেন সেই যুবক। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে কি বাঁচলেন তিনি?
কর্নাটকের সিরসার বাসিন্দা বছর কুড়ির ওই যুবকের নাম মাজ সইদ (Maaz Sayed)। সইদের নিজের ইউটিউব (YouTube) চ্যানেল রয়েছে। সেখানেও সাপেদের নিয়ে একই ধরনের ভিডিও রয়েছে। বিষধর সাপ নিয়ে খেলা দেখানোর অভ্যাস রয়েছে এই যুবকের। তারপরেও এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? সর্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কায়দায় সাপের খেলা দেখাচ্ছিলেন যুবক তা মারাত্মক। বিপদের আশঙ্কা ছিলই। আগে যে খারাপ কিছু ঘটেনি তা যুবকের সৌভাগ্য বলতেই হবে।
কর্নাটকের ওই যুবকের সাপের ছোবল খাওয়ার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ফণা তোলা তিনটি গোখরো সাপের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে আছেন তিনি। সাপগুলির সামনে হাত নেড়ে নানারকম অঙ্গভঙ্গি করছেন। আচমকাই একটি সাপ আক্রমণ করে তাঁকে। প্যান্টের উপর দিয়েই যুবকের হাঁটুর নীচের অংশে কামড়ে ধরে সাপটি। গোখরোটি এমন ভাবে যুবকের পা কামড়ে ধরেছিল যে হাত দিয়ে টেনেও সেটিকে ছাড়ানো যাচ্ছিল না।
This is just horrific way of handling cobras…
The snake considers the movements as threats and follow the movement. At times, the response can be fatal pic.twitter.com/U89EkzJrFc
— Susanta Nanda IFS (@susantananda3) March 16, 2022
ভয়ংকর ভিডিওটি টুইট করেন আইএফএস (Indian Forest Service officer) অফিসার সুশান্ত নন্দা। তিনি লেখেন, “এভাবে সাপেদের সামনে হাত-পা নাড়ানো ভয়ংকর ব্যাপার। সাপ অপরপক্ষের অঙ্গভঙ্গি নজরে রাখে। এবং একটা সময় পালটা আক্রমণ করে।”
বাস্তবেও তাই ঘটেছে। এখন তার ফল ভুগছে যুবক। হতে পারত মৃত্যুও। না, তা হয়নি। দ্রুত হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন মাজ সইদ। বর্তমানে সিরসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্নেকবাইট হিলিং অ্যান্ড এডুকেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রিয়াঙ্কা কদম ওই যুবককের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। একটি ফেসবুক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা জানান, ওই যুবকের প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৪৬টি অ্যান্টি ভেনম ভায়াল প্রয়োগ করা হয়। শুরুতে অবশ্য সাপেদের উত্যক্ত করার জন্য মাজ সইদের শাস্তি চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.