সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে সৎকারের (Funeral) জন্য যেতে দেখেছেন সকলেই। কিন্তু নিথর দেহ নিয়ে ব্যাংকে যেতে দেখেছেন কাউকে? অবাক লাগছে তো? ভাবছেন এটাও সম্ভব? কিন্তু বাস্তবে এমনই কাণ্ড ঘটল পাটনায়। শেষকৃত্যের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নিহতের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে দেহ নিয়ে ব্যাংকে হানা দিলেন স্থানীয়রা।
আর পাঁচজনের মতো ব্যাংকে (Bank) সঞ্চয় করেছিলেন সামান্য অর্থ। তবে উত্তরাধিকারী বলতে কেউ নেই। অবিবাহিত ব্যক্তির কাছে প্রতিবেশীরাই ছিলেন সব কিছু। তাই ব্যাংকে খাতায় কলমে তাঁর অ্যাকাউন্টে ছিলেন না কোনও নমিনি। আচমকাই একদিন না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ওই ব্যক্তি। কান্না ভেজা চোখে সৎকারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাদ সাধে অর্থ। কোথা থেকে মিলবে টাকা? কেউ কেউ জানতেন ওই ব্যক্তির ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কথা। তাই সকলে ভাবনাচিন্তা করে স্থির করেন নিহতের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঞ্চিত টাকা দিয়েই হবে সৎকার।
কীভাবে মিলবে সেই টাকা? কাগজপত্র না থাকায় মাথায় হাত স্থানীয়দের। তারপর স্থানীয়রা যা করেন তা শুধু তাজ্জব প্রায় সকলেই। মৃতদেহ নিয়ে সোজা ব্যাংকে চলে যান তাঁরা। ওই দেহ দেখিয়ে নিহতের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দাবি করেন। এভাবে কোনও নিহত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রথমে ব্যাংকের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ওই পরিস্থিতিতে গ্রাহক পরিষেবা দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় ব্যাংক কর্মীদের। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীদের ব্যাংকের বাইরে বেরতে বাধ্য করা হয়। ব্যাংকের দরজার সামনে দাঁড়িয়েও দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। এভাবে প্রায় ঘণ্টাতিনেক কেটে যায়। পরে যদিও ব্যাংক কর্মীরা চাঁদা তুলে ১০ হাজার টাকা নিহতের প্রতিবেশীদের হাতে তুলে দেন। ব্যাংকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও উত্তরাধিকারী নিহতের মৃত্যু সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য একাধিক প্রমাণপত্র-সহ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করলে তবেই পাবেন সঞ্চিত টাকা। নইলে তা কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.