সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে একের পর এক প্রোডাক্টের ডেলিভারি আসছে। পেটিতে করে কখনও বার্বির সংসার এসে পৌঁছচ্ছে বাড়িতে তো কখনও আসছে ভিডিও গেমের বাক্স। ব্যাপারটা কী? তিনি তো এসব কিছুই অর্ডার করেননি। তবে কি পরিচিত কেউ উপহার পাঠিয়েছে? বাড়ির গিন্নি বুঝেই উঠতে পারছেন না কী করে এসব তাঁর বাড়িতে ডেলিভারি হচ্ছে। সন্দেহ দূর করতে চার ও ছয় বছরের দুই কন্যা সন্তানকে প্রশ্ন করেন মা। আর তাতেই বেরিয়ে আসে সত্যি। আর কেউ নয়, এ কীর্তি ওই দুই খুদেরই। একেবারে পঞ্চাশ হাজার টাকার শপিং করেছে তারা!
বুঝুন কাণ্ড! যারা ঠিক মতো ক্রেডিট কার্ড উচ্চারণও করতে পারে না, তারাই কিনা তা ব্যবহার করে মায়ের টাকা ধ্বংস করেছে শপিং করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা ভেরোনিকা এস্টেল মেয়েদের কাণ্ডকারখানা দেখে রীতিমতো হকচকিয়ে গিয়েছেন। তাঁর অজান্তে দুই সন্তান নিজেরাই নিজেদের বড়দিনের উপহার দিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তারা ব্যবহার করল ক্রেটিড কার্ড? উন্নত প্রযুক্তির যুগে এ আর অসম্ভব কী। বাড়িতে অত্যাধুনিক ডিভাইস রাখার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ভেরোনিকা।
চার বছরের অ্যারিসা ও ছ’বছরের ক্যামকে জিজ্ঞেস করা হলে বেশ ভয়ে ভয়েই মায়ের কাছে শপিংয়ের কথা স্বীকার করে নেয় তারা। বার্বি ড্রিম হাউজ থেকে পি জে মাস্ক- কী নেই তাদের শপিংয়ের তালিকায়। এমনকী অর্ডার করা সমস্ত গেমগুলি যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত ব্যাটারিও আনিয়ে ফেলেছে তারা। খুদেদের এমন গোছানো শপিং বিস্মিত করেছে ভেরোনিকাকে। তাদের জিজ্ঞেস করেই তিনি জানতে পারেন, আমাজন অ্যালেক্সার থেকে নিয়মাবলি জেনে নিয়েই নাকি তারা এই খরচ করেছে। বাচ্চাদের সেই দুষ্টু-মিষ্টি স্বীকারোক্তির ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভেরোনিকা সেখানে মজা করে সন্তানদের প্রশ্ন করেছেন, “আমার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আমার জন্যই কিছু অর্ডার করলে না তোমরা?” তারপরই চোখ গোল গোল করে তিনি বলেন, “তোমরা দু’জনই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করেছ। দুজনকেই জেলে পাঠাব। বাবাকেও সব বলে দেব।” মায়ের এমন ধমক খেয়েই কেঁদে ফেলেন এক খুদে। তবে পরক্ষণেই হেসে সন্তানের কান্না থামান মা।
ভিডিও সৌজন্যে: Daily Mail
তবে স্বস্তির বিষয় হল, আমাজন থেকে অর্ডার করা সমস্ত জিনিস ফেরত দিতে পেরেছেন ভেরোনিকা। ফিরে পেয়েছেন টাকাও। কিন্তু অ্যালেক্সা ব্যবহার করে খুদেরা যা করল, তা নিঃসন্দেহে অবাক করার মতোই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.