সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি সিনেমা জুদাইয়ের কথা মনে পড়ে? অনিল কাপুরের স্ত্রী শ্রীদেবীকে টাকার বদলে স্বামীকে ত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন উর্মিলা। তাঁর সেই প্রস্তাব মেনে গরিব স্বামীকে ত্যাগ করেছিলেন শ্রীদেবী। বেছে নিয়েছিলেন বিলাসবহুল সুখের জীবন। প্রায় এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের চারপানি গ্রামে। তবে এখানে এই গল্পের মূল কুশীলব এক যুবক। যে ৭১টি ভেড়ার বিনিময়ে নিজের স্ত্রীকে তুলে দিলে তাঁর প্রেমিকের হাতে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। কারণ, ওই ভেড়াগুলি ফেরত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ভেড়াগুলির আসল মালিক, ওই প্রেমিকের বাবা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে চারপানি গ্রামের রাজেশ পালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সীমা (২৫) নামে এক যুবতীর। কিন্তু, বিয়ের কয়েকদিন পরেই ওই এলাকারই এক যুবক উমেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সীমার। গত ২২ জুলাই স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিক উমেশের সঙ্গে পালিয়েও যায় সে। তারপর থেকে উমেশের বাড়িতেই বসবাস করছিল। কয়েকদিন বাদে বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় রাজেশ, সীমা ও উমেশ। বিষয়টি সমাধানের জন্য একটা সালিশি সভার আয়োজনও করা হয়।
সেই সভায় ডাকা হয় সীমার শ্বশুরবাড়ি এবং তাঁর প্রেমিক উমেশের পরিবারকেও। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর গ্রামের মাথারা জানান, উমেশ যদি তার কাছে থাকা ১৪২টি ভেড়ার মধ্যে অর্ধেক রাজেশকে দিয়ে দেয় তাহলে সীমাকে নিয়ে সংসার করতে পারবে। এই নির্দেশ মেনে নিজের কাছে থাকা অর্ধেক ভেড়া রাজেশকে দিয়ে উমেশ। তিনজন খুশি মনে বিষয়টি মেনে নিলেও বাদ সাধেন উমেশের বাবা বা ভেড়া গুলির আসল মালিক। রাজেশের কাছ থেকে ভেড়াগুলি ফেরত চাইতে শুরু করেন। আর রাজেশ তাতে রাজি না হলে খোরাবার থানার পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি।
এপ্রসঙ্গে তাঁর একটাই দাবি, ‘ওই ভেড়াগুলি আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওগুলো ফেরত পাওয়ার বিষয়টিই আমার কাছে সবচেয়ে দরকারি।’ এদিকে সীমা নামে ওই যুবতীর দাবি, রাজেশের সঙ্গে বিয়ে করার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছিল। এর ফলে মানসিক শান্তিও থাকছিল না। তাছাড়া গত কয়েক বছর বিয়ে হলেও কোন সন্তান হয়নি। তাই শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসেছেন। আর কোনওদিন ফিরতে চান না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.