সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটকালি করল ইংরাজি, প্রেমের টানে ঘুচে গেল দুই দেশের ব্যবধান! অনলাইনে ইংরাজি শিখতে গিয়ে আলাপ হয় যুগলের। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পাত্র আর ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াই (Social Media) হয়ে উঠেছিল ওঁদের ভালাবাসার স্টেশন। পড়াশোনার ফাঁকে একান্ত আড্ডার পার্ক। শেষ পর্যন্ত সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সনওয়ার আলি এবং মিফতাহুল জান্নাহা। ইন্দোনেশিয়ার মেয়ের সঙ্গে যোগীরাজ্যের ছেলের বিয়ের খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সামাজিকমাধ্যমে। ভালবাসা ভিসা, পাসপোর্ট মানে না, বলছেন নেটিজেনরা।
সনওয়ার আলির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার রুদ্রপুরে। গ্রামের নাম নারায়ণপুর। ইন্দোনেশিয়ার মেদানে বাড়ি মিফতাহুল জান্নাহার। উভয়ের আলাপ হয় ২০১৫ সালে অনলাইনে ইংরাজি শিখতে গিয়ে। শুরুতে জান্নাহা ফেসবুকে বন্ধুত্বের আহ্বান পাঠান। সনওয়ার যা গ্রহণ করেন। আলাপ ধীরে ধীরে গাঢ় হয়। ২০১৭ সালেই উভয়েই অনুভব করেন একে অপরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু মাঝখানে ছিল বিরাট ব্যবধান। সমুদ্র ডিঙিয়ে বহু দূরদেশে বাড়ি সনওয়ারের প্রেমিকার। তার উপর সমাজ-সংস্কৃতির পার্থক্য। আদৌ কি এই প্রেম পরিণতি পাবে?
মনের ভেতর জটিল প্রশ্ন ছিল বলেই সনওয়ার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ছয় মাস পরে হ্যাঁ করেন জান্নাহা। ২০১৮ সালে প্রথমবার ইন্দোনেশিয়ায় যান সনওয়ার। প্রথমবার মুখোমুখি দেখা হয় প্রেমিকা তথা হবু স্ত্রীর সঙ্গে। সনওয়ার জানতে পারেন, জান্নাহার বাবা নেই। মা ও তিন বোনের সংসার। ফিরে এসে বাকি পড়া শেষ করেন সনওয়ার। বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। ২০১৯ সালে দ্বিতীবার ভালবাসার পাত্রীকে বিয়ে করতে ইন্দোনেশিয়া রওনা হন সনওয়ার আলি। কিন্তু কোভিড তথা লকডাউনে পিছিয়ে যায় সেই ভাবনা।
অবশেষে গত ২৯ অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়াতে গিয়ে বিয়ে করেন সনওয়ার আলি ও মিফতাহুল জান্নাহা। তবে ভারতে ফিরে উত্তরপ্রদেশের নিজের গ্রামে বড়সড় রিসেপশনের আয়োজন করেছিলেন যুগল। দূরের আত্মীয়রাও দেখতে এসেছিল দূর দেশের বাসিন্দা কনেকে। তাঁরা আশীর্বাদ করেছেন ইন্দো-ভারত জুটিকে। সমুদ্র, ভিসা, পাসপোর্ট, ভাষা, সংস্কৃতি কোনওকিছুই বাঁধা হতে পারেনি যাঁদের সম্পর্কের মাঝখানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.