সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকে হারানোর ব্রহ্মাস্ত্র সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা। তাই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনকে সফল করতে উদ্যোগী পুলিশ প্রশাসন। তবে তা সত্ত্বেও এখনও হুঁশ ফেরেনি অনেকের। অকারণে বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন তাঁরা। তার ফলে বাড়ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে গাছের ডালে অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করলেন উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দূর না হওয়া পর্যন্ত গাছের ডালেই বাস করবেন বলে সিদ্ধান্ত তাঁর।
লকডাউন অগ্রাহ্য করে বাড়ি থেকে বেরনো একেবারে নাপসন্দ উত্তরপ্রদেশের হাপুরের আশৌরার বাসিন্দা মুকুল ত্যাগীর। কিন্তু তাঁর কথা শুনছে কে? কিন্তু নিজেকে যে সুরক্ষিত রাখতেই হবে। তাই তো তিনি রাতারাতি একটি গাছবাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। কীভাবে তৈরি করলেন গাছবাড়ি? মুকুলবাবু বেশ কিছু কাঠ, গাছের ডাল জোগাড় করেন। ভাল করে গাছের ভিতরে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলেন বাসস্থানের জায়গা। গাছ থেকে একটি দোলনাও টাঙিয়েছেন তিনি। মাঝে মধ্যে ওই দোলনাতেও দুলছেন। সঙ্গে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি বইপত্র। লকডাউনের বিস্তর ফাঁকা সময়ে বই তাঁর একমাত্র মন ভাল করার সঙ্গী। পরিজনেরা গাছের কাছে এসে খাবার দিয়ে যাচ্ছেন তাঁকে। দিব্যি সেই খাবার খেয়েই দিন কাটছে।
মুকুল ত্যাগী অবশ্য এই লকডাউনের সময়ে গাছবাড়ির জীবন বেশ উপভোগ করছেন। তিনি বলেন, “আমাদের ভালর জন্য সকলে সামাজিক দূরত্ব তৈরির কথা বলছেন। কিন্তু অনেকে সে কথা শুনছে না। তবে আমি এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের পক্ষপাতী। তাই গাছেই বসবাস শুরু করি। বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমার ভালই লাগছে।” গাছকে বসবাসের যোগ্য করে তুলতে মুকুলবাবুকে সাহায্য করেছেন তাঁর ছেলে। তিনি বলেন, “বাবা আমাকে প্রথম তাঁর পরিকল্পনার কথা জানান। সেই অনুযায়ী আমরা গাছের শুকনো ডালপালা জোগাড় করি। তারপর গাছটিকে বাবার বাসযোগ্য করে তুলি। গাছবাড়ি তৈরির অভিজ্ঞতা একেবারে অন্যরকম।”
গাছবাড়ির মালিকের ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নিমেষেই। যে দেখছেন সেই মুকুলবাবুর ভাবনার প্রশংসা করছেন। সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের জন্য তাঁর এই পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে ভাল, তা বলাই যায়।
Hapur: Mukul Tyagi, an advocate has built a makeshift tree house in his village Asaura, as a retreat, during #CoronaLockdown. He says,”Doctors have said social distancing is the only way to contain this pandemic that is why I made up my mind to live in seclusion. I’m enjoying it” pic.twitter.com/NTNRyAHSug
— ANI UP (@ANINewsUP) April 10, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.