সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আয়োজন সারা। পাত্রীও বধূবেশে প্রস্তুত। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। লগ্ন বয়ে যায় যায়, অথচ পাত্রপক্ষের পাত্তা নেই। হঠাৎ পাত্রীর বাবার মোবাইলে একটি ফোন। ওপার থেকে ছেলের বাবা জানিয়ে দিলেন, বিয়ে হচ্ছে না। কিন্তু কেন? জানতে চাইলে বরের বাবার উত্তর, “আপনার মেয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে হোয়াটসঅ্যাপে, আপনার মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে পারব না।”
মূল ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আমরোহার নউগাঁও সদত গ্রামে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পাত্রপক্ষের দাবি, মেয়ে অতিরিক্ত সময় কাটায় হোয়াটসঅ্যাপ করে। আর সেকারণেই বাতিল করা হয়েছে বিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোয় আপত্তিই থাকত তাহলে আগে কেন জানানো হল না? এ প্রশ্নের জবাব পাত্রপক্ষের কাছে নেই। এরপরই আসরে নামে পাত্রীপক্ষ। তাদের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ শুধু অজুহাত। আসলে বিয়ে বাতিল করার কারণ পণের দাবি না মেটা। পাত্রপক্ষ মোটা অঙ্কের পণ চেয়েছিল, তা দিতে রাজি হয়নি মেয়ের বাড়ি, আর তাতেই শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত।
মেয়ের বাবা উরোজ মেহেন্দি অভিযোগ করছেন, মেয়ের বিয়ের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। কিন্তু তিনি সেই পণের দাবি মেটাতে রাজি ছিলেন না। উরোজ মেহেন্দির দাবি, “বিয়ের দিন আমরা যথেষ্ট অপমানিত হয়েছি। আমাদের আত্মীয়রা সবাই এসেছিলেন, নিমন্ত্রিতরাও এসেছিলেন। কিন্তু ওরা এলই না।” এরপরই ৬৫ লক্ষ টাকা পণ চাওয়ার অভিযোগ তুলে ছেলের বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মেহেন্দি। অন্যদিকে, আমরোহার পুলিশ সুপার বিপিন তাড়া জানাচ্ছেন, পাত্র পক্ষ পণ চাওয়ার অভিযোগ মানেনি। তাঁরা জানিয়েছে, মেয়েটি বিয়ের আগেই হবু শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের উলটোপালটা মেসেজ পাঠাতো। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.