সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধ করে একটি প্রাসাদ বানিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেই নির্দেশ দিলেন বোমা মেরে সেই প্রাসাদ উড়িয়ে দেওয়া হোক। এমনই ঘটনা ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে (Ukraine)। সেই দেশের একজন কোটিপতি আন্দ্রে স্তাভনিতসারের এই কাজের কথা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।
কিন্তু কেন এমন নির্দেশ দিলেন তিনি? জানা গিয়েছে, বাড়িতে লাগানো ক্যামেরা থেকে আন্দ্রে দেখতে পান তাঁর বাড়িতে রকেট মজুত করছে রুশ সেনারা। সেই রকেট ছোঁড়া হবে রাজধানী কিয়েভের দিকে। রকেট ছাড়াও আরও যুদ্ধাস্ত্র রাখার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর বাড়ি। রুশ সেনাদের কাজে লাগছে তাঁর সাধের বাড়ি? মেনে নিতে পারেননি তিনি। আন্দ্রে বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার খুব বেশি সমস্যা হয়নি। আশপাশের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে সেই জিনিস আমার বাড়িতে রাখা হয়েছিল। আমার বাড়ি থেকেই ইউক্রেনের ক্ষতি করা হচ্ছে, এটা আমি সহ্য করতে পারিনি।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, “আমার বাড়িতে লুটের জিনিসপত্র রাখা হচ্ছিল। তাছাড়াও বাইরের লোক আমার বাড়ির মধ্যে ঢুকে ঘোরাফেরা করছিল। এই সব দেখে আমার বিরক্ত লাগছিল। ঘেন্না করছিল রুশ সেনাদের দেখে। তাই আমার বাড়ি ধ্বংস করে দিতে বলেছি।” আন্দ্রের বাড়িতে ১২টি সাঁজোয়া গাড়ি রাখা হয়েছিল। এছাড়াও কিছু মিসাইল রাখা হয়েছিল যেগুলি ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত আক্রমণ করতে পারে।
Ukrainian millionaire asks Ukrainian military to bomb his mansion after he saw Russian troops inside on security cameras. So they did. pic.twitter.com/R9qL9Kdg5T
— Mike Sington (@MikeSington) April 19, 2022
আন্দ্রে নিজে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বাড়িতে রয়ে গিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের ফোন কেড়ে নিয়ে জেরা করে রুশ সেনারা। সাক্ষাৎকারের শেষে আন্দ্রে বলেন, “এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে জেতানোর চেষ্টা করব। আমাদের দেশ ইউরোপের রক্ষাকবচ হিসাবে অবস্থান করছে। তাই আমাদের দেশ থেকে রুশ সেনাদের মেরে তাড়িয়ে দেওয়া দরকার। সেই কারণেই নিজের বাড়ি ধ্বংস করে দিতে বলেছি যাতে রুশ সেনারা চলে যায়। আমার পক্ষে এইটুকুই করা সম্ভব ছিল।” প্রায় দু’মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউক্রেন। সারা বিশ্বে নিন্দিত হয়েও যুদ্ধ থামায়নি রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.