অরূপ বসাক, মালবাজার: ঠিক করে এখনও কথা বলতেও শেখেনি। অথচ এখন থেকেই তার প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটছে। বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। এই বয়সেই ইংরাজি বর্ণমালার A-Z পর্যন্ত সমস্ত অক্ষর চিনতে এবং বলতে পারে! মালবাজার (Malbazar) মহকুমার নাগরাকাটার সুভাষপল্লির হৃদান মিত্র যেন বিস্ময় শিশু! ইংরেজি বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ সে দেখেই চিনতে পারে। গোলাকার, ত্রিভুজাকার কিংবা চৌকো। যে কোনও জ্যামিতিক আকারের ধারণাও হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। জানে ইংরেজি ও বাংলার সমস্ত অক্ষর। বিভিন্ন শাকসবজি, ফলমূল, জন্তু-জানোয়ার বা মানবশরীরের বিভিন্ন অংশ। একসঙ্গে হরেক কিসিমের ছবির মিশ্রণের মধ্যে থেকেও জানতে চাইলে নির্ভুলভাবে দেখিয়ে দেয় প্রশ্নের বস্তুটিকে। এর এই বয়সে এই কৃতিত্বের অধিকারী হৃদান সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এর (India Book of records) শংসাপত্র পেয়েছে।
হৃদানের বাবা ডাঃ সুব্রত মিত্র ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক (Doctor)। মা প্রাথমিক স্কুলেক শিক্ষিকা। রাস্তাঘাটে সাইনবোর্ড কিংবা গাড়ির নম্বর প্লেট চোখে পড়লেই হল। সেগুলির বর্ণ কিংবা সংখ্যা নিজে থেকেই অস্ফূটভাবে বলতে শুরু করে দেয় হৃদান, দাবি পরিবারের সদস্যদের। ছোট্ট ছেলের এই প্রতিভা দেখে তাঁরাও সকলে বিস্মিত। কীভাবে হৃদান নিজে নিজেই শিখে গেল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরাও।
মেধাবী, আদুরে শিশুর দাদু দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ”অন্য কোনও খেলনায় ওর মন নেই। সারাদিন শুধু বর্ণমালা আর সংখ্যা নিয়েই পড়ে থাকে। তা বইয়ে ছাপানো হোক বা চিহ্ন। ওসবই দেখতে চায়। বাধ্য হয়ে আমরাও সেসবই কিনে দিই।” মা দীপাঙ্কণা মিত্রর কথায়, ”কোলে করে বাইরে বের হলেও হাতে এ, বি, সি, ডি নিয়েই থাকে। কেড়ে নেওয়ার সাধ্য কারও নেই। রাস্তায় ওকে নিয়ে বের হলেই গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে নাম্বার বলে দেয়। কোনও সাইনবোর্ড দেখলেই সমস্ত অক্ষর পরিষ্কার বলতে পারে।”
নাগরাকাটার সুভাষপল্লির বাসিন্দা সুকান্ত সরকার, নিতাই বোসরা জানাচ্ছেন, ”প্রায় ২ বছরের শিশু সত্যিই আশ্চর্যের! এত ছোট বয়সে সব ইংরাজি, বাংলা অক্ষর চিনতে এবং বলতে পারে হৃদান। যত বড় হবে, তত জ্ঞান বাড়বে তার। হৃদানের জন্য আজ আমরাও ভীষণ খুশি। আশীর্বাদ করি, ও আরও বড় হোক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.