সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপতি বাপ্পা মোরিয়া-এই আওয়াজে আর কটাদিন পরেই মহারাষ্ট্রের আকাশ-বাতাশ মুখরিত হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উৎসবের জৌলুস সারা ভারতেরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে এবার এই উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন এক শিল্পী।
[ কিকি চ্যালেঞ্জে মন জয় তেলেঙ্গানার ২ কৃষকের, ভিডিওয় মজেছে নেটদুনিয়া ]
এবার গণেশই দেবে সবুজায়নের দিশা। পরিবেশ নিয়ে আমাদের ভাবনার অন্ত নেই। কিন্তু পরিবেশ রক্ষার জন্য ভগবানের কাছে হাত পেতে বসে থাকারও কোনও মানে নেই। বরং মানুষই পারে পরিবেশকে সকলের বাসযোগ্য করে রাখতে। তার জন্য চাই বেশি সংখ্যক বৃক্ষরোপণ। শুধু সরকারি বা বেসরকারি স্তরে নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও তা করতে হবে। গণেশ চতুর্থীর মতো বড় উৎসবকে যদি সেই কাজে লাগানো যায়, তবে তো কথাই নেই। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছেন মুম্বইয়ের শিল্পী দত্রাদ্রি কোঠুর। তিনি যে গণেশ মূর্তি বানানোর বরাত পেয়েছেন তার মধ্যে একটি করে বীজও রেখে দিচ্ছেন। এই ধরনের মূর্তির নাম দিয়েছেন ইকো-ফ্রেন্ডলি গণেশ। সাধারণত বাড়িতে যাঁরা গণেশ পুজো করেন তাঁরা এই ছোট মূর্তি কিনে নিয়ে পুজোশেষে ব্যালকনিতে রাখতে পারেন। তারপর নিয়মিত জল দিলেই বীজ থেকে বেরবে চারাগাছ। অনেক ক্ষেত্রে ইউজ-অ্যান্ড-থ্রো কলম ফেলে না দিয়ে এভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এবার গণেশ মূর্তিকেও সে কাজে লাগানো হচ্ছে। বড় মূর্তির বিসর্জন হবে। কিন্তু ছোট ছোট মূর্তিকে যদি অনেক বাড়িতে রেখে দেওয়া যায়, তবে অন্তত একটা করে গাছের জন্ম হবে প্রতি বাড়িতে। এই লক্ষ্যেই অভিনব এই মূর্তি বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখেই অন্য এক শিল্পী কাগজ দিয়ে গণেশ বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। যাতে বিসর্জনের পর তা পুরোপুরি মাটিতে মিশে যায়। শিল্পীদের বক্তব্য, পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব তো সকলেরই। আর তা যদি গণেশ আরাধনার মধ্য দিয়েই হয়, তবে তার থেকে ভাল আর কী হতে পারে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.