সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে পা ভেঙেছে একরত্তির। তাই বাধ্য হয়েই তাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাবা-মা। খুদে তখন যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কিন্তু একরত্তির পরিবর্তে তার পুতুলের পায়ের যত্ন নিতে তখন ব্যস্ত চিকিৎসক। ভাবছেন নিশ্চয়ই এ আবার কীভাবে সম্ভব? আপনি যতই অবাক হোন না কেন এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী রইল দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতাল। তবে এ ঘটনার নেপথ্য কাহিনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি।
মাত্র এগারো মাস বয়স জিকরা মালিকের। সবে একটু বসতে শিখেছে। এখনও পর্যন্ত নিজেকে সামলানোর ক্ষমতা হয়নি তার। খেলতে খেলতে আচমকাই পড়ে যায়। কাঁদতে শুরু করে একরত্তি। কী হয়েছে, তা ঠিক করে বলতে পারছে না শিশুটি। লোকনায়ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন পা ভেঙে গিয়েছে তার। প্লাস্টার না করে জিকরাকে যে স্বাভাবিক জীবন ফেরানো সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কীভাবে জিকারার পা প্লাস্টার করবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। একরত্তি যন্ত্রণায় ততক্ষণে প্রায় লাল হয়ে গিয়েছে।
শিশুর মা ফন্দি আঁটলেন। প্রিয় পুতুল পরীকে অনুকরণ করাই অভ্যাস জিকরার। তাই মেয়ের পায়ের চিকিৎসায় পুতুলকে কাজে লাগানোর কথা ভাবলেন তিনি। খুদের বাবাকে বাড়িতে পাঠালেন। আনলেন জিকরার প্রিয় পুতুল পরীকে। তখন চিকিৎসকরা খেয়াল করেন কান্নাকাটি যতই করুক না কেন জিকরা তার প্রিয় পুতুল পরীকে এক মুহূর্তও হাতছাড়া করছে না।
তাই চিকিৎসকরা ভাবলেন একটু অন্যরকম পদ্ধতিতে খুদেকে পায়ে প্লাস্টার করতে রাজি করাবে। তাই বুঝিয়ে শুনিয়ে জিকরার কাছ থেকে তার প্রিয় বন্ধু পরীকে নিয়ে নেন চিকিৎসকরা। ওই পুতুলের পা প্লাস্টার করে ট্রাকশন দিয়ে উপরে তুলে দেন। এরপর পালা একরত্তির। পুতুলকে ওভাবে দেখে সাহস পায় জিকরা। রাজি হয়ে যায় পা প্লাস্টার করতে। তার পা প্লাস্টার করে ট্রাকশন দিয়ে তুলে দেওয়া হয়।
আপাতত ওই হাসপাতালই ঠিকানা খুদের। চিকিৎসকরা জানান, আগেও বহু শিশু এই হাসপাতালে নানা রোগে ভরতি হয়েছে। কিন্তু এমন কাণ্ড কেউ ঘটায়নি। অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে হাসপাতালে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে জিকরা। তবে জিকরা নয় ‘গুড়িয়াওয়ালি বাচ্চি’ নামেই এখন বেশি পরিচিত সে।
Dr Ajay Gupta, Professor of Orthopedic at Lok Nayak Hospital in Delhi: An 11-month-old girl suffering from a fracture was refusing treatment so her mother gave us idea to pretend to treat her doll first, as child is very close to the doll. It worked well & patient felt comforted. pic.twitter.com/I9JBh6ZsI6
— ANI (@ANI) August 31, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.