সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপহার পেতে ভাল লাগে সকলেরই। আর সেই উপহার যদি হাতে তুলে দেন মনের মানুষ, তবে তার গুরুত্ব যে কতটা তা নতুন করে বলার কিছু নেই। তেমনই প্রেমিকার মুখের হাসি দেখার জন্য উপহার দিতেও বেশ ভালবাসেন প্রেমিকেরা। তবে উপহার তো এমনি এমনি আসবে না। তার জন্য প্রয়োজন টাকার। সেই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে এক প্রেমিক যা করল, তা শুনে অবাক প্রায় সকলেই। তাজ্জব পুলিশও।
ঘটনা দিল্লির (Delhi) সরোজিনী নগরের। গত মঙ্গলবার ওই এলাকার বাসিন্দা আদিত্য কুমার পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, ওইদিন সাড়ে তিনটা নাগাদ তিন যুবক কলিং বেল বাজায়। দরজা খোলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে যায় তারা। যুবকদের হাতে ছিল বন্দুক। তাই আচমকা বেশ ভয়ে পেয়ে যান তিনি। ওই তিন যুবক তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে বেঁধে ফেলে তারা।
এরপর ঘর থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, জামাকাপড় ভরতি একটি ব্যাগ, জ্যাকেট, জুতো, হাতঘড়ি এবং স্কুটার লুট করে চলে যায় তিন যুবক। বেশ কিছুক্ষণ পর নিজের চেষ্টায় কোনওক্রমে বাঁধা হাত খোলেন। মোবাইল চুরি হওয়ায় কাউকেই ফোন করতে পারছিলেন না আদিত্য। বাধ্য হয়ে একটি প্রায় খারাপ হয়ে যাওয়া ল্যাপটপ থেকে ফেসবুকে লগ ইন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আত্মীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সরোজিনী নগর এলাকা থেকে চোরাই স্কুটার-সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। আর কে পুরমের বাসিন্দা শুভমকে জেরা করে নিজামুদ্দিনের বাসিন্দা আসিফ এবং জামিলা নগরের বাসিন্দা মহম্মদ সরিফুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই পুলিশের কাছে পুরো ঘটনাটি জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর জেরায় শুভম তার অপরাধ কবুল করে। সে জানায়, ইদানীং প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হচ্ছিল। প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে দামি উপহার দেওয়ার কথা ভেবেছিল। সে কারণেই চুরির পরিকল্পনা করে। তাতেই তাকে সাহায্য করে বাকি দু’জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে ধৃত শুভম, মহম্মদ সরিফুল মোল্লা, আসিফের। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি স্কুটার, একটি ল্যাপটপ, চারটি চুরি যাওয়া মোবাইল, জামাকাপড় ভরতি ব্যাগ এবং একটি হাতঘড়ি উদ্ধার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.