সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশিক্ষার অন্ধকার ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে। পণপ্রথার বলি হন মেয়েরা। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এই ঘটনা অবশ্য ‘শিক্ষাদীক্ষা’ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে দিল। সেখানে সরকারি কলেজের এক অধ্যাপক শেষ মুহূর্তে বিয়ে বাতিল করলেন, পণ হিসেবে দামি গাড়ি না পেয়ে। পাত্রীপক্ষের কাছে ‘ফরচুনার’ চেয়েছিলেন অধ্যাপক। সেই দাবি না মানায় বিয়েই বাতিল করে দেন তিনি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে পাত্রীর পরিবার পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গাজিয়াবাদের। অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ বিহার উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি কলেজের লেকচারার। তাঁর বিয়ে পাকা হয়ে গিয়েছিল। জামাইকে উপহার হিসেবে গাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাত্রীর পরিবার। তারা ‘ওয়াগনার’ দেবে বলে ঠিক করে। কিন্তু ওই গাড়ি পছন্দ হয়নি জামাই বাবাজির। তিনি পাত্রীর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে জানান, ওয়াগনর নয়, তাঁর ফরচুনার চাই। যদিও পাত্রীপক্ষ সেই দাবি মানেনি। এরপরেই বিয়ে বাতিল করেন লেকচারার। অন্যদিকে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা গোটা ঘটনা জানিয়ে পুলিশ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে লেখা হয়, “১০ অক্টোবর, ২০২২-এ একটি ওয়াগনর গাড়ি বুক করা হয়েছিল হবু জামাইকে উপহার দেওয়া হবে বলে। এরপরে পাত্রের বাড়ি থেকে লোক পাঠানো হয় পাত্রীর বাড়িতে। জানানো হয়, ওয়াগনর নয়, ফরচুনার দিতে হবে। এই দাবি মানতে চায়নি কনেপক্ষ। এরপর ২৩ নভেম্বরে বিয়ে বাতিল করে দেন অধ্যাপক।” পুলিশ জানিয়েছে, পণ চাওয়া ও মেয়ের বাড়ির লোকেদের ভয় দেখানোর অভিযোগে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ক’দিন আগে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে অগ্নি সাক্ষী রেখে দুই পাক ঘোরার পর বিয়ে বাতিল করেন এক তরুণী। অভিযোগ, আচমকাই তিনি জানান, বরের গায়ের রঙ অত্যাধিক কালো, ফলে তিনি বিয়ে করবেন না। এমনকী তাঁর অভিযোগ, যে পাত্রের সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা হয়েছিল এই যুবক তিনি নন। যদিও ততক্ষণে মালা বদল অবধি হয়ে গিয়েছিল। যদিও কারও কথা শোনেননি তরুণী। এই ঘটনার পর পাত্র রবি অভিযোগ করেছেন, প্রচুর পরিমাণ গয়না দেওয়া হয়েছিল হবু কনেকে। এখনও পর্যন্ত তা ফেরত পাননি তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.