ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুরি করেই উপার্জন। তাই বলে চোর বাবাজি ভাগ্যকে বিশ্বাস করবে না, এমনটা নয়। ভাগ্য মানে বলেই শুধু মঙ্গলবার চুরি করে। তার বিশ্বাস, মঙ্গলবার চুরি করতে বেরলেই লাভ শুধু লাভ, লোকসানের ভয় নেই, ভয় নেই ধরা পড়ারও।তাই শত লোভের হাতছানি এলেও মঙ্গলবার ছাড়া চুরির কথা ভাবতেই পারে না সে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই সৌভাগ্যের বারই তার জীবনে দুঃখের মেঘ নিয়ে এল। মঙ্গলবারেই চুরি করতে গিয়ে একেবারে হাতেনাতে পাকড়াও চোর মহম্মদ সমীর খান। বাদ যায়নি শাগরেদ সোয়েবও তাকেও হাজতে পুরেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২১ লক্ষ টাকা।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন চোর সমীর খানের পূর্বপুরুষরা আফগানিস্তান থেকে এসেছিলেন। সমীর চোখেও কম দেখে। তারপরেও চুরির লোভ ছাড়তে পারে না। গোটা সপ্তাহে একদিনও সে বাড়ির বাইরে বের হয় না। কিন্তু সোমবার কাটলেই রাতের অন্ধকারে তার ভাগ্য খোলে। ঘড়ির কাটা ১২টা ছুঁতেই সমীরের সৌভাগ্য যোগ শুরু হয়ে যায়। সে তখন যে বাড়িতেই যাবে, সেখান থেকেই মালামাল হয়ে ফিরবে। তাই আগেভাগেই শাগরেদকে নিয়ে তৈরি থাকে। শুভক্ষণ এলে আর কোনও দিকে তাকায় না। সোজা গন্তব্য তালাবন্ধ বাড়ি। বাড়িতে ঢুকে বেশি সময় নষ্ট করাও এই চোরের পছন্দ নয়। শাগরেদকে পাহারায় রেখে একাই বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। চোখের সামনে যা থাকে তার মধ্যে থেকেই মূল্যবান সামগ্রী বেছে নিয়ে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই চম্পট দেয় তারা। আলমারির তালা ভেঙে পাড়া জাগিয়ে বিপদ বাড়াতে তার আপত্তি আছে।
সঙ্গে বাহন মোটর সাইকেল থাকায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করা কোনও ব্যাপারই নয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ এই জুটিকে খুব একটা বাগে পায় না। তাই বলে সমীর খান জেলের ঘানি টানেনি তা নয়। এই জেলেই তো শাগরেদ শোয়েবের সঙ্গে তার আলাপ। তারপর ছাড়া পেয়ে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে চুরির কারবার করে চলেছে। শুধু তেলেঙ্গানা নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকেও চুরি করেছে এই জুটি। সবমিলিয়ে তিন রাজ্যের পুলিশরে কাছে ৩০টি চুরির অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.