সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর…। কখনও শুনেছেন, কবে বৃষ্টি হবে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী করছে কোনও মন্দির। অবাক করার মতো হলেও সত্যি। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ভিতরগাঁও বেহাতার ঘতমপুর এলাকায় এমন একটি মন্দির রয়েছে, যা কিনা আগে থেকেই জানিয়ে দেয় কবে বৃষ্টিপাত হতে পারে বা কী পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মন্দিরটি স্থানীয়দের মঙ্গলার্থে আগে থেকেই বৃষ্টিপাতের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্বাসই বলা হোক কিংবা অন্ধবিশ্বাস। ভারতের এই মন্দিরের গল্প শুনলে আপনারাও অবাক হবেন। বলা হয়, বৃষ্টি হবে কি হবে না, হলে কবে হবে? ভাল হবে না মন্দ হবে? সবকিছুর আগাম ইঙ্গিত দেয় এই মন্দির! সেজন্যই মন্দিরটিকে ওই এলাকায় ‘রেন টেম্পল’ নামে বেশি চেনেন স্থানীয়রা। এটি একটি জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রার সময় এই মন্দির চত্বরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। রথযাত্রা উপলক্ষে একটা বড়সড় মেলাও হয়। মন্দিরটি নাকি সম্রাট অশোকের আমলে তৈরি হয়েছিল। অনেকটা বৌদ্ধ মন্দিরের ধাঁচে তৈরি এর নকশা। ভিতরে জগন্নাথের চমকপ্রদ মূর্তিও রয়েছে।
কিন্তু, কীভাবে ভবিষ্যৎবাণী করবে মন্দির? স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষা আসার আগে প্রখর রোদের মধ্যেও এই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়তে দেখা যায়। মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়তে দেখা গেলেই বোঝা যাবে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে বৃষ্টি আসছে। চুঁইয়ে পড়া জলের পরিমাণ দেখে এটাও আন্দাজ করা যায়, ঠিক কী পরিমাণ বৃষ্টি হবে। বেশি জল পড়লে বেশি বৃষ্টি আর কম জল পড়লে কম বৃষ্টি। আশ্বর্যের কথা হল, একবার বৃষ্টি নেমে গেল মন্দিরে ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়াও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী সিলিংয়ে জলের চিহ্নমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। এই এলাকার বাসিন্দারাও আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য এই মন্দিরের উপরই নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু, আদৌ কী বৃষ্টির জল পড়ার সাথে মন্দিরের জল পড়ার কোনও সম্পর্ক আছে? আর থাকলেও সেটা কীভাবে? সে প্রশ্নের কোনও উত্তর এখনও খুঁজে পাননি গবেষকরা। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা যদিও ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ জল চুঁইয়ে পড়ার কারণ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি গবেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.