প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবারই এমনটা হয়, উত্তর ভারত যখন ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপে, শৈত্যপ্রবাহে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে সেই সময় মৃদু শীত পড়ে। কিন্তু তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) নীলগিরি পর্বতমালা এবার অন্য খেল দেখাচ্ছে। আশ্চর্য পরিবেশ বদলের সাক্ষী হচ্ছেন স্থানীয়রা। গত কয়েক দিন সেখান শূন্যে নামছে তাপমাত্রা। এই সঙ্গে বেলা অবধি ঘন কুয়াশায় অন্ধকার এলাকা। এখন তুষারপাত হলেই ষোলোকলা পূর্ণ হয়। উষ্ণায়নের জেরেই কি এমন ঘটনা? বেজায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
অচেনা অতিরিক্ত শীতে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। অন্যরাও সর্বক্ষণ গরম পোশাক পরে, আগুন পুইয়ে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করছেন। নীলগিরির চাষিদের দাবি, প্রচুর হিম পড়ায় ক্ষতি হচ্ছে চাষের। এই ক্ষতি টের পাওয়া যাবে কিছু দিন পরে, ফসলে টান পড়তে পারে। অনেকে হয়তো ভাবছেন, পাহাড়ি এলাকায় ঠান্ডা তো বেশি পড়ে। নীলগিরি তার ব্যতিক্রম হবে কেন?
সেকথা ঠিক। দক্ষিণ ভারত হলেও সমতলের তুলনায় খানিক বেশিই ঠান্ডা পড়ে তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড় এলাকায়। তাই বলে এতটাও নয়। হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে ১ ডিগ্রি সেলিয়াস তাপমাত্রা ছিল কানথালে ও উদগমণ্ডলমের থালাইকুঁথায়। স্থানীয় বোটানিক্যাল গার্ডেনে তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রি। স্যান্ডিনাল্লাহতে তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি।
এই ঘটনায় চিন্তিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। নীলগিরি এনভায়ারমেন্টল সোশাল ট্রাস্টের সদস্য ভি শিবাদাসের দাবি, উষ্ণায়ন তথা এল নিনোর ফল। তিনি বলেন, “এই বিলম্বিত শীত, জলবায়ু পরিবর্তন নীলগিরির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।” আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে চা উৎপাদনে প্রভাব পড়বে, বলছেন স্থানীয় চা বাগানগুলির কর্মী সংগঠনের সদস্য আর সুকুমারন। এদিকে সবজি চাষিরা জানিয়েছেন, প্রবল শীত ও কুয়াশায় গাজর উৎপাদন অনেকটাই কমে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.