সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুর জন্মের পর মা-বাবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তার নামকরণ। সন্তানের জন্য সেরা নামটিই বেছে নিতে চান অভিভাবকরা। আবার অনেকে কুলোপুরোহিতের পরামর্শ মেনে কিংবা পরিবারের প্রবীণদের নির্দেশ অনুযায়ী নামকরণ করে। কিন্তু কর্ণাটকের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের নাম শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন! সুপ্রিম কোর্ট থেকে গুগল- সকলেই রয়েছেন এই গ্রামে!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। অদ্ভুত সব নাম শোনা যায় কর্ণাটকের (Karnataka) ভদ্রপুরের গ্রামে। খুব বেশি নয়, বছর ১৫ আগে থেকে গ্রামের শিশুদের এমন সব নাম রাখা শুরু করেছিল হাক্কি পিক্কি নামের আদিবাসী সম্প্রদায়। তারপর থেকেই সে গ্রামে ছেয়ে যায় কফি, গুগল, ব্রিটিশ, অমিতাভ, অনিল কাপুর, হাই কোর্ট, গ্লুকোজের মতো নামগুলি। কিন্তু কেন এই সমস্ত নাম দেওয়া হয় সেই গ্রামের বাচ্চাদের? জানা গিয়েছে, যে সব নাম বেশ জনপ্রিয়, আবার শুনতেও মন্দ লাগে না, সেই নামগুলিকেই তারা বেছে নেয়।
তবে শুধুই জনপ্রিয়তার জন্য নয়। নামকরণের নেপথ্যে একটি করে গল্পও রয়েছে। ধরুন কোনও দম্পতি মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। সেই ভালবাসা থেকেই সন্তানের নাম রেখেছে চকোলেটের নামে। আবার কোনও দম্পতি যে রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেন, অনেক সময় সন্তানের নামকরণে ফুটে ওঠে সে ছবিও। তবে কেবল ডাক নাম নয়, পাসপোর্টেও এই নামই রয়েছে তাদের। অনেকের কাছে বিষয়টি বেশ হাস্যকর হলেও তারা কিন্তু নিজেদের নাম ভালবাসে।
তবে শুধু নামের বৈচিত্র্যই নয়, আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এই সম্প্রদায়ের। এই গ্রামের বাসিন্দারা প্রায় ১৪ রকম ভাষা বলতে জানে। আবার পণপ্রথাও এখানে উলটো। পাত্রের পরিবারই পাত্রীপক্ষকে পণ দেয়। আর বিচ্ছেদ ঘটলে সেই পণের অর্ধেক পাত্রের পরিবারকে ফিরিয়ে দিতে হয়। সব মিলিয়ে নানা বৈচিত্র্যে ভরা হাক্কি পিক্কি সম্প্রদায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.