Advertisement
Advertisement

একসঙ্গে ৪৩৪ জনের শাঁখে ফুঁ, গিনেস বুকে নাম তুলল এই পুজো

পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ করেও প্রশংসিত গুরুগ্রামের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।

This Durga Puja association creates Guinness World Record for blowing conch
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 28, 2018 8:57 pm
  • Updated:October 28, 2018 8:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাঁখ বাজিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলল গুরুগ্রামের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুজো কমিটি। এক টানা ১০ সেকেন্ড শঙ্খ বাজালেন ৪৩৪ জন। অষ্টমীর দিন রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে উঠল নাম। কড়া নজরদারির মধ্যেই সম্পন্ন হল প্রতিযোগিতা পর্ব। গোটা অনুষ্ঠানটি সামনে থেকে দেখার জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের তরফে ওই পুজো মণ্ডপে দু’জন সাক্ষীর পাশাপাশি ১০ জন পর্যবেক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। বেলা দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত চলা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ৪৭২ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৩৪ জন প্রতিযোগী টানা ১০ সেকেন্ড করে শাঁখ বাজিয়েছেন। প্রতিযোগীদের মধ্যে পুজোর স্বেচ্ছাসেবক থেকে শুরু করে দর্শনার্থীরাও ছিলেন। একবারে দুই তরফের ৫০ জন করে শাঁখ বাজিয়েছেন। সময় শেষে দেখা গেল সফলতার সঙ্গেই ২৯৫ জনের দীর্ঘ শাঁখ বাজনোর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুজো কমিটি। দীর্ঘ সময়ের শঙ্খ বাজানোর নিরিখে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে শীর্ষ তালিকায় উঠে এল গুরুগ্রামের এই পুজো কমিটি।

স্বভাবতই রেকর্ড ভেঙে খুশি পুজো উদ্যোক্তা সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই দুর্গাপুজোয় নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। গত ফেব্রুয়ারিতে এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তারপরই নিজেদের কর্মক্ষমতা যাচাই করে নিয়ে গিনেস বুকে সরকারিভাবে নাম নথিভুক্ত করি। আসলে শাঁখ তো ঝিনুকের বড় রূপ। একে বাদ্যযন্ত্রও বলা যেতে পারে। শঙ্খ বাজানো একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। এই শাঁখ বাজিয়েই মানুষ কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে। ভগবানের নামগান করে। বর্তমানে অনেকেই এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ভুলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র প্রাচীন পরম্পরাকে ফেরাতেই নয়, শঙ্খ প্রতিযোগিতর পিছনে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীতে ঘটতে থাকা খারাপ সময়কে রুখে দিয়ে শুভ মুহূর্তকে ফিরিয়ে আনা।

Advertisement

[উপত্যকায় নয়া আতঙ্ক স্নাইপার জঙ্গিরা, চিন্তায় সেনা]

বলা বাহুল্য, এখানেই শেষ নয়। দুর্গাপুজোতে নজরকাড়া মণ্ডপ তৈরি করেও প্রচারের আলো ছিনিয়ে নিয়েছে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুজো কমিটি। এখানে এবার পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মূলত দিনে দিনে বেড়ে চলা দূষণ যেভাবে মানব সমাজের শ্বাস নেওয়ার অধিকারকে কাড়ছে। সেখানে আর কিছুদিন চললে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীকে আর উপযুক্ত বলা যাবে না। তাই শুধু পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপই নয়। একই সঙ্গে পুজোর পর সমগ্র প্যান্ডেল খুলে ফেলার প্রক্রিয়াও পরিবেশ বান্ধব ছিল। প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধেও প্রচার চালানো হয়েছে। তারমধ্যেই শাঁখ বাজিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের রেকর্ডে নাম তুলতে তৎপর পুজো কমিটি। খুব শিগগির সেই শিরোপা অতিরিক্ত পালক জুড়তে চলেছে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুজো কমিটির মুকুটে।  

[অর্থের অভাব, অথৈ জলে মোদির স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্প]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement