সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীরা নিয়ম ভাঙলে শাস্তি দেন শিক্ষক। পুরনো রেওয়াজ। বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালি’ উপন্যাস নিয়ে ছবি করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ওই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধারে মুদি ও গুরুমশাই তুলশি চক্রবর্তীকে। যিনি কান ধরে দাঁড়ানো, সরু বাঁশের কঞ্চি দিয়ে প্রহার ইত্যাদি উপায়ে পড়ুয়াদের শাসন করছেন। দিনকাল বদলেছে। ইদানীং ছাত্রছাত্রীদের মারধর করা বারণ। সেকথা ভেবেই হয়তো ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) একটি স্কুলে অন্য শাস্তি দেওয়া হল পড়ুয়াদের। স্কুলে মোবাইল ফোন আনায় এবং তা ব্যবহার করায় পড়ুয়াদের ফোন পুড়িয়ে দিলেন শিক্ষিকারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে নেটিজেনদের একাংশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি বোর্ডিং স্কুলে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো স্যোশাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে, একদিকে একদল পড়ুয়া দাঁড়িয়ে আছে অসহায়ভাবে, উলটো দিকে একজন শিক্ষক। তিনি পড়ুয়াদের হাত থেকে একটার পর একটা মোবাইল ফোন কেড়ে নিচ্ছেন এবং পাশেই জ্বলতে থাকা আগুনে ছুঁড়ে ফেলছেন। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে ফোন। ফোন না পোড়ানোর জন্য শিক্ষিকাদের কাছে বারবার অনুরোধ করতে দেখা যায় পড়ুয়াদের। যদিও সে কথায় কান দেননি শিক্ষিকা। নির্মম ভঙ্গিতে নিজের কাজ করে চলেন তিনি।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশের বক্তব্য, শিক্ষকরা শাস্তি দিতেই পারেন, তাই বলে কারও ফোন নষ্ট করার অধিকার নেই কারও। ভিডিওর নিচে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেন, “হয়তো বোর্ডিং স্কুলে এমনভাবেই ছাত্রছাত্রীদের শাস্তি দেওয়া হয়। হয়তো এরপর তারা আর শ্রেণিকক্ষে ফোন আনবে না।”
তবে অনেকেই শিক্ষকদের এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, “যাঁরা শিক্ষক তাঁদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। এটা জঘন্য কাজ হল। কারও ফোন পুড়িয়ে দেওয়ার অধিকার নেই আপনাদের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.