ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনে উন্নতির স্বার্থে যে কোনও যুবকের স্বপ্ন একটা ভালো চাকরি। তা সরকারি হলে তো ‘সোনায় সোহাগা’। কিন্তু সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেতেই বিপদ নেমে এল বিহারের এক যুবকের জীবনে! তাঁর অনুমতি ছাড়াই জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হল। অপহরণ করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে বিয়েও করতে হল তাঁকে। কিন্তু পাত্রীকে ঘিরেই রয়েথে আসল ‘টুইস্ট’।
আসলে ঘটনাটা কী?
বিহারের বেগুসরাই জেলার বাসিন্দা অবনীশ কুমার। সম্প্রতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় সফল হয়ে স্কুলশিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, ঘটনার দিন, শুক্রবার বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিলেন যুবক। হঠাৎ প্রায় ১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে গাড়িতে উঠতে বলে। অভিযোগ, জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় অবনীশকে। গাড়ি সোজা গিয়ে থামে একটি মন্দিরের সামনে। সেখানেই আগে থেকেই লাল শাড়ি পড়ে বিয়ের সাজে হাজির এক পাত্রী। যুবককে বিয়ে করতে বলা হয়। রাজি না হলে অবনীশকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
তবে এখানে আছে টুইস্ট। বিয়ের জন্য অপেক্ষা করা পাত্রীর নাম গুঞ্জন। তিনি লখিসরাই জেলার বাসিন্দা। গুঞ্জনের অভিযোগ, অবনীশের সঙ্গে তাঁর চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করারও কথা ছিল যুগলের। কিন্তু যুবক চাকরি পেতেই সেই ‘ওয়াদা’ ভুলে যান বলে দাবি যুবতীর। কিন্তু ততদিনে গুঞ্জন তাঁদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না অবনীশের সঙ্গে। অগত্যা তুলে এনে জোর করে বিয়ে। গুঞ্জন বলেন, “আমাদের সংসার শুরু কথা ছিল। যে স্কুলে ও চাকরি পেয়েছে সেখানেও আমাকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমি বাড়িতে বিষয়টি জানাতেই বিয়ে করতে অস্বীকার করে অবনীশ। এটা কী করে মেনে নেব?”
যদিও পুরো বিষয়টা অস্বীকার করে সদ্য সরকারি চাকরি পাওয়া অবনীশ বলেন, “আমি ওই মেয়েকে চিনি না। ও বারবার ফোন করে আমাকে হেনস্তা করত। ঘটনার দিন কয়েকজন আমাকে অপহরণ করে। ওরা আমাকে মারধর করে, জোর করে আমার বিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করতেই মারার হুমকি দেয়।”
তবে এখানেই শেষ নয়। বিয়ের পর সটান অবনীশের বাড়িতে যান গুঞ্জন। সেখানেও ঝামেলা বাঁধে। অবনশীরে বাবা-মাও তাঁকে পত্রবধূ হিসাবে মানতে চানতে চাননি। সবশেষে থানায় অভিযোগ জানায় নববধূ। পালটা অপহরণ, নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন অবনীশও। পড়েছে পুলিশ। তবে এটা প্রথম নয়, বিহার পুলিশের কাছে চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ জমা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.