Advertisement
Advertisement
Tamil Nadu

আগামীদের আদর্শ, ১৩ বছরের শিক্ষকতার জীবনে কখনও ছুটি নেননি এই শিক্ষিকা

কীভাবে কোনও ছুটি না নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি?

Tamil Nadu government school teacher has not taken any leave for 13 years | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 28, 2022 2:08 pm
  • Updated:May 28, 2022 2:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষকরা সমাজের দর্পণ। তাঁদের চিন্তাধারাকে আদর্শ করে জীবনের দিশা খুঁজে পান আগামীরা। কিন্তু সকলেই তো আর আদর্শ শিক্ষক হতে পারেন না। তবে তামিলনাড়ুর এক শিক্ষিকা নিজেকে সেই স্তরে নিয়ে যেতে সফল হয়েছেন। ৪৭ বছরের এস সরসু ১৩ বছরের কেরিয়ারে কখনও ছুটি নেননি।

তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভিল্লুপুরমের কাছে সুন্দরিপলায়ম নামের এক গ্রামের বাসিন্দা সরসু। ভানিয়ামপাল্লমের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তিনি। ১৩ বছর করে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কখনও ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন মনে হয়নি তাঁর। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি, অসুস্থতা- শিক্ষকতার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি কোনও কিছুকেই। ১৩ বছরে ক্যাজুয়াল, মেডিক্যাল কিংবা আর্ন লিভ- কোনওটিতেই হাত পড়েনি তাঁর। ২০০৪ সালে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর প্রথম ৫ বছরে ক্যাজুয়াল লিভ নিলেও গত ১৩ বছরে কোনও ছুটির হিসেব করার প্রয়োজন হয়নি তাঁর। স্কুলের খাতায় পড়েনি কোনও লাল দাগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘এবারের আইপিএলের মতো ভুল গোটা কেরিয়ারে করেনি’, কোহলিকে তোপ শেহওয়াগ-মঞ্জরেকরের]

সরসু বলছিলেন, “১৮ বছরের শিক্ষকতার জীবনে কোনওদিন কোনও মেডিক্যাল ছুটি নিতে হয়নি আমায়। এছাড়া গত ১৩ বছর ধরে কোনও ধরনের ছুটি নিইনি। আসলে ছাত্রদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলাম।” কিন্তু কীভাবে কোনও ছুটি না নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন সরসু? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে দিচ্ছেন, “আমি আমার ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কাজ স্কুলে যাওয়ার আগে কিংবা স্কুল ছুটির পর করি। আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে পড়ুয়ারাও। আগে দেখতাম অনেক ছাত্রছাত্রীই স্কুলে আসত না। তবে এখন আমার ক্লাস কেউ কামাই করে না।” বলছেন, ছুটি না নেওয়ায় প্রথম দিকে পরিবার, আত্মীয়রাও রেগে যেতেন তাঁর উপর। কিন্তু পরবর্তীতে এর নেপথ্যের কারণ জানতে পেরে সকলেই পাশে দাঁড়ান।

সরসুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন স্কুলে নির্দিষ্ট সময়েই আসেন তিনি। আর বাড়ি ফেরেন সকলের পরে। অর্থাৎ ছুটি নেন না বলে যে কাজে ফাঁকি মারেন, এমনটা নয়। এমন আত্মত্যাগের জন্য ইতিমধ্যেই ৫০টি পুরস্কারে সেজে উঠেছে তাঁর ড্রয়িং রুমের শো-কেস। এহেন শিক্ষিকাকে কুর্নিশ না জানিয়ে কি পারা যায়?

[আরও পড়ুন: ‘আমি নেই, ৪০% ভোট পেয়ে দেখান’, বাংলা ছাড়ার আগে সুকান্ত-শুভেন্দুদের চ্যালেঞ্জ দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement