সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশে ওড়াউড়ির খেলা খেলতে খেলতে আলাপ, বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। আর বছর ছয়ের প্রেমপর্ব পরিণয়ে যখন বদলে গেল, তখনও সাক্ষী আকাশ। হেঁয়ালি মনে হচ্ছে? তাহলে খুলেই বলা যাক অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড আর নিউজিল্যান্ডের ক্যাথির এই প্রেম-পরিণয়ের কাহিনি।
দু’দেশের দু’প্রান্তে বসে একটি ভিডিওগেম খেলতে খেলতে একে অপরকে চিনেছিলেন ডেভিড আর ক্যাথি। খেলার নাম ছিল ‘এয়ারপোর্ট সিটি’। সেটা ২০১১। একবছর ধরে চ্যাটের মাধ্যমে কথাবার্তা বলতেন দু’জন। তারপর শুরু হয় ফোনে কথোপকথন এবং এর মাঝেই একে অন্যের প্রতি প্রেমানুভূতি টের পান। ক্যাথির কথায়, ‘আমাদের দু’জনেরই উড়ানের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। যা আমাদের পরস্পরকে কাছে এনেছে। আমরা এক বছর ধরে শুধু চ্যাটে কথা বলেছিলাম। তারপর ওর জন্মদিনে আমি সাহস করে ফোন করি, শুভেচ্ছা জানাই। তখন থেকে প্রেমের শুরু।’ ২০১৩ সালে সিডনি বিমানবন্দরে প্রথম একে অন্যকে দেখেন।
৬ বছর প্রেমপর্বের পর যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ডেভিড-ক্যাথি, তখনও মাটিতে পা রেখে নয়, আকাশে উড়েই একে অপরের চিরসাথী হওয়ার অঙ্গীকার করেন। অকল্যান্ড থেকে সিডনি – তাসমান সমুদ্রের উপর দিয়ে এই দূরত্ব পেরতে পেরতে একেবারে মাঝআকাশে বিমানের সহযাত্রীদের সাক্ষী রেখে মধ্যে উভয়ের আংটি বদল, জীবনভর একত্রে থাকার মন্ত্রোচ্চারণ। হাঁ করে দুই তরুণ-তরুণীর এমন কাণ্ড দেখলেন বিমানের শ’খানেক যাত্রী। চমকে গিয়েছেন পাইলট, কেবিন ক্রু, বিমানসেবিকারাও। উপহার হিসেবে তেমন কিছু না দিতে পারার আক্ষেপ থাকলেও, ডেভিড-ক্যাথির এমন এক বিশেষ দিনের আনন্দের ষোল আনাই তাঁরা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমানকর্মীরা।
যে বিমানে চড়ে নিজেদের দাম্পত্য জীবন শুরু করলেন ক্যাথি-ডেভিড, সেই জেটস্টারের এক কর্মী রবিন হল্ট জানাচ্ছেন, ওঁরা যখন বিয়ে করেন, তখন বিমান তাসমান সমুদ্র থেকে ৩৪০০০ ফুট উপরে। এমন বিস্ময়কর ঘটনা অনেকেই রেকর্ড করে রেখেছেন মোবাইলে। পুরো পরিকল্পনাটাই নাকি ক্যাথির। তিনিই চেয়েছিলেন, বিয়েটাও হোক আকাশে উড়ে। অনেকেই বলছেন, এ তো মেঘে ভেসে বিয়ে! জেটস্টারের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন নবদম্পতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.