সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধ্যানগুহার কথা মানুষ জানে। লোকসভার ভোটের শেষদিন ধ্যানগুহায় মনোসংযোগ অভ্যাস করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৌলতে কেদারনাথের এই গুহার কথা আজ সর্বজনবিদিত। কিন্তু তাই বলে ধ্যানকবর! ঠিকই শুনছেন। এদেশে না হলেও বিদেশে এই কাণ্ড ঘটে। নেদারল্যান্ডের নিজমেগেন শহরে রয়েছে এমনই একটি কবরস্থান। এখানে পড়ুয়ারা কবরে শুয়ে মানসিক চাপ কমায়। এর নামকরণ করা হয়েছে, ‘শুদ্ধিকরণ কবর’।
তবে এই সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের মস্তিষ্কপ্রসূত নয়। সেখানকার ব়্যাডবাউন্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের এমন নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নির্দেশে হতবাক পড়ুয়ারা। কিন্তু তাই বলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ তারা অমান্য করেনি। এর মাধ্যমেই আপাতত মানসিক চাপ কাটানোর চেষ্টা করছে তারা। তবে এই পদ্ধতিতে মানসিক চাপ কাটানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। একটি বড় জায়গায় প্রথমে একটি কবর খোঁড়া হবে। তার মধ্যে শুয়ে থাকতে হয় পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। তবে এই ‘শুদ্ধিকরণ কবর’-এর সাহায্যে চাপ কমাতে চাইলে কিন্তু মোবাইল, বই বা অন্য কিছু নিয়ে যাওয়া চলবে না। শুধু মাদুর আর বালিশ নিয়ে যেতে হবে এখানে।
পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ সহ্য করা খুব কষ্টকর ব্যাপার। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই এই চাপ নিতে পারে না। চণ্ডিগড়ে মাস খানেক আগে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন। যাতে আর কোনও পড়ুয়া এই কাণ্ড না ঘটায় তারই উপায় খুঁজে বের করেছে নেদারল্যান্ডের এই বিশ্ববিদ্যালয়। মানসিক চাপ কমাতে সবচেয়ে উপযোগী ধ্যান। এর ফলে যেমন মানসিক শান্তি হয়, তেমন শরীরও ভাল থাকে। সেই কারণে এই বন্দোবস্ত। কিন্তু কবর কেন?
‘শুদ্ধিকরণ কবর’-এর আবিষ্কারক জন হ্যাকিং বলেছেন, মৃত্যু সম্পর্কে আলোচনা করা সবার কাছেই খুব হৃদয়বিদারক। বিশেষ করে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে যখন বয়স থাকে, তখন তো বটেই। তাঁর মতে, পড়ুয়ারা পৃথিবীতে যে সময়টা তারা কাটাচ্ছে তার সম্পর্কে ভাবতে শেখায় কবর। এর ফলে ভয়ের সঙ্গে কীভাবে যুঝতে হয়, তা শেখা যায়। আর তার ফলে পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ আয়ত্তে আনতে সমর্থ হয় ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়ারা এ নিয়ে কী বলছেন, তা জানা না গেলেও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ‘থেরাপি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.