সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনলক পর্বে করোনার (Coronavirus) ধাক্কা সামলে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছি আমরা। খুলেছে অফিস। মনে মনে সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েও পেটের টানে অফিস যাচ্ছেন অনেকেই। অফিস যাচ্ছেন আর সঙ্গে পেন থাকবেন তা তো হতেই পারে না। কিন্তু বাড়ি থেকে বারবার প্রিয়জন নিজের ব্যবহারের জিনিস অন্যের সঙ্গে হাতবদল করতে বারণ করেছেন। কিন্তু অফিসে কী আর সে বাধা নিষেধ সবসময় মেনে চলা সম্ভব? তাই তো অনেক সময়েই নিজের পেন অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে। কিন্তু অন্যের হাত পেন ফেরত নেওয়ার সময় যেন চাপা আতঙ্ক কাজ করছে, তাই না? মনে হচ্ছে এভাবে করোনা সংক্রমিত হয়ে যাব না তো? এই চিন্তা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ‘স্যানিটাইজার পেন’ (Sanitizer pen)।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসটি এখন সকলকেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে অভ্যস্ত করে দিয়েছে। বর্তমানে স্যানিটাইজার ছাড়া যেন এক পাও চলার কথা ভাবতে পারছেন কেউ। যদিও বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী তেমনই অভ্যাস রপ্ত করাই উচিত। কিন্তু আপনি স্প্রে কিংবা জেলের মতো স্যানিটাইজার তো নয় ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ‘স্যানিটাইজার পেন’ শুনেই অবাক লাগছে তাই না? তবে চলুন খোলসা করে বলা যাক এই সামগ্রী আদতে কীরকম?
লখনউয়ের এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের স্যানিটাইজার বিক্রি করছেন। তিনিই দোকানে রেখেছেন ‘স্যানিটাইজার পেন’। ঠিক কীভাবে কাজ করবে বিশেষ ধরনের এই পেন? ওই ব্যবসায়ী বলেন, “বর্তমানে স্যানিটাইজার সকলের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু অফিসে যাঁরা যাচ্ছেন কিংবা পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বারবার পেন ব্যবহার করতে হয়। তাঁদের পক্ষে পেন ধরামাত্রই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই তাঁদের কথা ভেবেই ‘স্যানিটাইজার পেন’ তৈরি করা হয়েছে। ওই পেন দিয়ে লেখার সময়েই হাত জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।” ঠিক সেভাবেই গাড়ির চাবিতেও স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করেছেন তিনি। ভিন্ন ধরনের স্যানিটাইজার সকলের মন ছোঁবে বলেই আশা ওই ব্যবসায়ীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.