ছবি সৌজন্য: রয়টার্সের ভিডিও।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ হয় রাজায় রাজায়। আর তার ফল ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এই পরম সত্য সভ্যতা উপলব্ধি করেছে বহু আগেই। তবুও বারবার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন রাষ্ট্রনায়করা। আর একের পর এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয় পৃথিবীকে। দেখতে দেখতে ১৪ দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war)। এর মধ্যেই নানা করুণ দৃশ্যের জন্ম হয়েছে। এবার দেখা মিলল একটি ছোট্ট ছেলের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের (Ukraine) ওই ছেলেটি পোল্যান্ডে যাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তার একলা একলা হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখে সকলেই শিউরে উঠেছেন। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একলা শিশুটি হেঁটে চলেছে। হাতে ধরা ব্যাগে উঁকি দিচ্ছে পুতুল। তার আশপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। দেখা যায়, শিশুটি হাঁটতে হাঁটতে অঝোরে কাঁদছে।
Excruciating pic.twitter.com/PIutGEIN0F
— Josh Campbell (@joshscampbell) March 7, 2022
তার অসহায়, বিধ্বস্ত মুখ দেখে বিষণ্ণ নেটিজেনরা। তাঁদেরই একজনের আকুতি, ”দয়া করে বলুন, সত্যি সত্যিই কি একা একা পথ হাঁটছে ওই শিশুটি? কেউ দয়া করে বলুন ওকে কোথায় পাব এবং কেমন করে আমার বাড়িতে আমার কাছে এনে রাখতে পারব। এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।” একই সুর অন্য নেটিজেনদেরও। কেউই মানতে পারছেন না তার অসহায় হেঁটে চলা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হানা দেয় রুশ বাহিনী। তাদের হামলার জবাব দিতে শুরু করে ইউক্রেন। এরপর থেকেই লাগাতার যুদ্ধের সাক্ষী হয়েছে কিয়েভ, খারকভ-সহ একাধিক শহর। এর জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
একটি পরিসংখ্যান বলছে, তেরোদিনের যুদ্ধে ২০২টি স্কুল, ৩৪টি হাসপাতাল নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সাধারণ বসতি অঞ্চলের ১৫০০টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। দেশের ৯০০টি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মৃত অসংখ্য। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেন ছেড়েছেন ১৭ লক্ষ মানুষ।
যুদ্ধের ‘বিষ’ রেয়াত করেনি শিশুদেরও। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৩৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৭১টি শিশু। বড়দের পৃথিবীতে ওদের অসহায়তার ছবিই যেন যুদ্ধের আসল ভয়াবহতাকে প্রকট করে তুলছে। কিন্তু তাতেও এই ধরনের ঘটনায় যে কোনও লাগাম পরানো যায়নি তা নতুন ভাইরাল ভিডিওর শিশুটির অসহায় পথচলাই বুঝিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.