Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্বের সেরা মা

ব্যতিক্রমী সম্মান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানের একক অভিভাবক হয়ে ‘সেরা মা’ এই যুবক

অবনীশকে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Pune man adopted boy with Down Syndrome, got Best mommy award
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 8, 2020 4:18 pm
  • Updated:March 8, 2020 5:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এ এক অন্য মায়ের গল্প। একা মায়ের সংগ্রামের গল্প অনেকেই জানি। কিন্তু একজন পুরুষকে যখন বাবা-মা দুজনেরই দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেই সংগ্রামের কথা অনেকেরই অজানা। ২০১৬ থেকে এই লড়াই শুরু করেছিলেন পুণের আদিত্য তিওয়ারি। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত এক শিশুকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন তিনি। দত্তক নেওয়ার পর থেকেই একার দায়িত্বে তাকে লালন-পালন করছেন আদিত্য। তার সেই লড়াইকে কুর্ণিশ জানাল বিশ্ব। রবিবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (International Women’s Day, 2020)  ‘বিশ্বের সেরা মা’-এর সম্মান (Best Mommy of the World) পেলেন আদিত্য তিওয়ারি।

২০১৬ সালের আগে থেকেই লড়াইটা শুরু হয়েছিল। অবনীশকে দত্তক নেওয়ার জন্য দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়তে হয় আদিত্যকে। শেষপর্যন্ত ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি অবনীশের আইনি হেফাজত পান আদিত্য। তারপর থেকে নতুন সংগ্রাম চলছে বলে জানান আদিত্য। তাঁর কথায়, “অবনীশ আমার কাছে ঈশ্বরের উপহার। নিজেকে কখনও একা বাবা বলে মনেই করিনি। একজন মায়ের মত করে সারাক্ষণ ছেলের যত্ন নিয়েছি। আমিও ওর মা, আমিই ওর বাবা।” কিন্তু একইসঙ্গে বাবা ও মায়ের ভূমিকা পালন করা কতটা কঠিন? ছেলেকে আদর করতে করতে প্রশ্নের উত্তর দেন আদিত্য। বলেন, “অবনীশ আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে একইসঙ্গে ভালো মা-বাবা হওয়া যায়। মায়েরাই কেবল সন্তানের সঠিক দেখভাল করতে পারেন, বাবারা নন, এই সেকেলে ধারণা ভাঙতে চেয়েছি আমি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : দেশে করোনা হানার জের, অরুনাচল প্রদেশে বিদেশিদের প্রবেশে জারি নিষেধাজ্ঞা]

জানা গিয়েছে, আদিত্য তিওয়ারি অবনীশকে দত্তক নেওয়ার পরে চাকরি ছেড়ে দেন। বাচ্চাদের বড় করার বিষয়ে নতুন মা-বাবাকে নানা পরামর্শ  দিতে শুরু করেনন। প্রতিবন্ধী শিশুদের একা হাতে বড় করে তোলার উপায় নিয়ে একটি সম্মেলনে অংশ নিতে তাঁকে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক অন্য মা হয়ে উঠেছে আদিত্য। বুঝিয়ে দিয়েছেন, মা হতে পুরুষ বা নারী হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন অনেকটা ধৈর্য্য আর মনের জোরের।

[আরও পড়ুন : ১০৪ বছরেও ছুটছেন মন কউর, নারী দিবসে অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে সম্মান রাষ্ট্রপতির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement