সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবজাগরণের শিল্পকলার বিষয়ে পড়াতে গিয়ে বিখ্যাত শিল্পী মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর (Michelangelo) ডেভিড মূর্তির ছবি দেখানো হয়েছিল। বিখ্যাত এই মূর্তিকে ‘পর্নোগ্রাফি’ আখ্যা দিয়ে তুমুল প্রতিবাদ শুরু করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সমবেত দাবিতে বরখাস্ত হলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। ফ্লোরিডার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে মার্কিন শিক্ষা মহলে।
ফ্লোরিডার (Florida) আইন অনুযায়ী, স্কুলে যা কিছু পড়ানো হবে, সেই বিষয়গুলি পড়ানোর আগে অভিভাবকদের জানিয়ে দিতে হবে। তাঁদের অনুমতি না থাকলে বিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো যাবে না। কিন্তু টালাহ্যাসি ক্লাসিক্যাল স্কুলের প্রিন্সিপাল এই নিয়ম ভেঙেছেন বলেই অভিভাবকদের দাবি। সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে এক অভিভাবক জানান, ক্লাসের মধ্যে পর্নোগ্রাফি দেখানো হয়েছে পড়ুয়াদের।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, নবজাগরণের শিল্পকলা নিয়ে পড়ানোর সময়ে ডেভিডের মূর্তির ছবি দেখানো হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের। মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর এই অমর শিল্পকর্মটি আসলে বাইবেলের ডেভিড চরিত্রের একটি নগ্ন মূর্তি। সেই ছবি দেখানোকে পর্নোগ্রাফির সমান বলে অভিযোগ আনেন এক পড়ুয়ার অভিভাবক। এমন মূর্তি দেখা পড়ুয়াদের পক্ষে ঠিক নয় বলেই অভিযোগ ওঠে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ পেয়েই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, হয় তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। নয়তো বরখাস্ত করা হবে। তবে চাকরি হারানোর পর প্রিন্সিপালের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে মতের অমিল হচ্ছিল কর্তৃপক্ষের। সেই জন্যই তাঁকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, কট্টরপন্থী হিসাবে বরাবর পরিচিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বাইবেলের চরিত্রের অবমাননা হচ্ছে বলেই কি প্রিন্সিপালের উপর কোপ পড়েছে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সেদেশের শিক্ষা মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.