সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেকবার দাবানলে ধ্বংস হয়ে যায় পর্তুগালের অসংখ্য বনভূমি৷ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অসংখ্য বন্য পশু ও পাখি৷ আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় অসংখ্য খামার বাড়ি ও শস্য মজুদ করার ছোট ছোট গুদাম৷ তবে এবার গ্রীষ্মকালের অনেক আগেই সতর্কতা অবলম্বন করল পর্তুগাল প্রশাসন৷ না, কোনও দমকল বাহিনী নিয়োগ করে বন, জঙ্গলে জল ছেটানোর ব্যবস্থা করেনি সরকার৷ করেনি গাছ কাটারও ব্যবস্থা৷ এমনকী, কোনও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেও দাবানল নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়নি৷ বরং, ছাগলদের একটা বড় ব্রিগেডকে দাবানল প্রতিরোধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে পর্তুগাল সরকার৷
[এই বাদ্যযন্ত্রের সুর নাকি প্রাণঘাতী! বাজাতে গিয়ে হতে পারে মৃত্যুও]
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি৷ ৩৭০টি ছাগ সেনার একটি ব্রিগেডকে দাবানল নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পর্তুগালের পার্বত্য অঞ্চলের কোলে বেড়ে ওঠা জঙ্গল ও বনভূমিগুলিতে৷ জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় একশো জন পশুপালকের কাছ থেকে এই ছাগলগুলিকে ভাড়া করেছে প্রশাসন৷ দেশের বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমিতে এদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে৷ মনের সুখে বনের ঘাস-পাতা খেয়ে সাফ করে দিচ্ছে ছাগলের দল৷ বড় গাছ না খেতে পারলেও, চারাগাছ থেকে শুরু করে লতাপাতা সবই চলে যাচ্ছে এই ছাগ সেনার পেটে৷ প্রশাসনের দাবি, দাবানলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল আগুন ছড়িয়ে পড়া৷ একটা বনে আগুন ধরলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের বনগুলিতে ছড়িয়ে যায়৷ আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শুকনো পাতা ও ছোট ঘাস৷ এই ছাগ বাহিনী নিয়োগের ফলে সেই আগুন ছড়ানোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আশা প্রশাসনের আধিকারিকদের৷
[নিলামে উঠল চাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির পাথর]
পর্তুগিজ প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রত্যেক বছর এই দাবানলের ফলে কেবল প্রাকৃতিক সম্পদই নষ্ট হয় না৷ পাশাপাশি প্রাণ যায় প্রচুর মানুষের৷ গত বছরই প্রায় শতাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছিল এই ভয়ঙ্কর দাবানলে৷ প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এই দাবানলের ফলে দেশের পর্যটন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে৷ অনেক পর্যটক এই স্থানগুলিতে যেতে চাইছেন না৷ এই বিপদ দূর করতেই এমন অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই আধিকারিক৷ এই পদক্ষেপের ফলাফল পেতেও যে সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে তাও জানান ওই আধিকারিক৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.