সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে হামেশাই ওঠে। ক’দিন আগে নকল করা আটকাতে গৃহ শিক্ষকদের পরীক্ষার সময় থানায় বসিয়ে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এবার যা ঘটল তাতে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে শিক্ষকদের। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা (Board Examination) চলছে। সেই পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার পরিবর্তে আজব আরজি জানিয়েছে পড়ুয়ারা। এমনকী বহু পরীক্ষার খাতায় ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা নোট গুঁজে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পরীক্ষার খাতায় এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, তিন বার বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে তার। অনেক কষ্ট করে নতুন সম্বন্ধ পাকা হয়েছে। কিন্তু এবার পাশ না করলেও এই বিয়েও ভেস্তে যাবে। যেহেতু পাত্র শর্ত দিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করতে হবে তাকে। অতএব তার দাবি, গুরুজি যেন তাকে এ যাত্রায় পাশ করিয়ে দেন। বিয়ের বিষয়ে পরীক্ষা খাতায় লিখে শিক্ষককে পাশ করিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন আরও এক ছাত্রী। যদিও তিনি ইতিমধ্যে বিবাহিত। তার সমস্যা অন্য। শ্বশুরবাড়ির লোক চায় মেয়ে পড়াশুনো করুক। যদিও ছাত্রীটি একেবারেই এই বিষয়ে আগ্রহ নেই। এ হেন পরিস্থিতিতে ছাত্রীর বিষয়টি বিবেচনা করে যেন তাকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। নচেত শ্বশুরবাড়িতে তার সম্মান থাকবে না, জানিয়েছে ছাত্রী।
এমন আরজির পাশাপাশি শিক্ষকদের মন পেতে পরীক্ষার খাতায় টাকা গুঁজে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বোর্ড পরীক্ষার বেশ কিছু খাতার ভিতর ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা নোট পাওয়া গিয়েছে। তা সেলোটেপ বা সুতো দিয়ে এমন ভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে খাতার সঙ্গে, যাতে করে খাতা খুললেই তা শিক্ষকের নজরে আসে।
স্বভাবতই গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত শিক্ষকরা। পরীক্ষার খাতায় এমন ধারা আরজিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁরা। এইসঙ্গে খাতায় টাকা গুঁজে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন গুরুজিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.