সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) যেমন হয়েছিল ঠিক তেমন ঘটনা এবার হরিয়ানার (Haryana) হিসারে। দিব্য বেঁচে থেকেও মরে গেলেন বৃদ্ধা! শারীরিক ভাবে বেঁচে থাকলেও কাগজেকলমে ‘মৃত্যু’ হল তাঁর। ফুলা দেবীর (Phula Devi) ঘটনা যেন লালবিহারীর ‘মৃত্যুর’ ফোটোকপি।
হিসাবের পুথিসামাইন গ্রামের ফুলা দেবীর ‘মৃত্যু’ হয় গত ১৫ এপ্রিল। এমনই বলছে সরকারি নথি। তবে তেমনটা কিন্তু মোটেই ঘটেনি। দিব্য হেঁটেচলে বেড়াচ্ছেন, কাজকর্ম করছেন। নিত্য দেখা হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে। সকলে মানুষ বলেই মানছে, ভূত বলছে না কেউ। কিন্তু ৬ মে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে অশীতিপর বৃদ্ধা জানতে পারেন ‘তাঁর মৃত্যু হয়েছে’। এর পরই জেলার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার আধিকারিকের (Social Welfare Officer) কাছে বিষয়টি জানান ফুলা দেবী। অভিযোগ দায়ের করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। তবে এখনও পর্যন্ত সংকট মেটেনি। কীভাবে তাঁর মৃত্যুর ‘খবর’ সরকারি নথিপত্রে নথিবদ্ধ হল তা-ও জানা নেই কারও।
বৃদ্ধার ছেলে শুভরাম পানু জানিয়েছেন, ‘মৃত্যুর’ খবর নথিভুক্ত হয়ে যাওয়া আপাতত প্রবীণ নাগরিকের ভাতাও পাচ্ছেন না ফুলে দেবী। তবে দু’মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। অর্থাৎ কাগজেকলমে এখনও ‘প্রাণ ফিরে পাননি’ ফুলা দেবী। ফলে এখনও বন্ধ রয়েছে পেনশন।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক ও সমাজকর্মী লালবিহারীর সঙ্গে এমনটাই ঘটেছিল। ১৯৭৪ সালে হঠাৎই একটি কাজে সরকারি দপ্তরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তিনি ‘মৃত’। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে আইনের চোখে নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করেন তিনি। যার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁর লড়াই।
চলতি বছরেই কতকটা একই রকম ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেও। বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের পিঙ্গলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা সহদুর মণ্ডল (৬১)। একটানা ১০ বছর বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার পর হঠাৎ তাঁর ভাতা বন্ধ হয়। খোঁজখবর করলে জানা যায়, বার্ধক্য ভাতার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পরে অভিযোগ পেয়ে সমস্যা মেটানো হয় প্রশাসনের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.