সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে বাবা-মা দু’জনেই কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়ে শামিল। তাই সন্তান দাদু-ঠাকুমা কিংবা বেতনভুক কারও যত্নে বেড়ে ওঠে। কিন্তু খুদে যে বাবা-মায়ের ব্যস্ততা বোঝে না। পরিবর্তে সে চায় দিনভর মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। আর নিজের দাবিপূরণ না হলেই প্রতিবাদের ভাষা কান্নাকাটি। এমন সমস্যাতেই জেরবার জাপানি দম্পতি ফুকি এবং ন্যাজো স্যাটো। মায়ের অনুপস্থিতিতে বাচ্চার কান্নার থামাতে অদ্ভুত এক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তাঁরা। যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন প্রায় সকলেই।
জাপানি দম্পতি ফুকি এবং ন্যাজো স্যাটোর বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। বছরখানেকের একটি সন্তান রয়েছে তাঁদের। বাবা-মা দিনভর কাজে ব্যস্ত। তাই পরিজনদের সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটে খুদের। তবে তা তার এক্কেবারে পছন্দ নয়। পরিবর্তে মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করে সে। আর মাকে না পেলেই কান্নাকাটি করে বাড়ি মাথায় করে দস্যি। মায়ের দেখা না পাওয়া পর্যন্ত কান্না বাঁধ মানে না তার। কিন্তু এভাবে তো আর দিন কাটে না। শুধু সন্তানকে বড় করে তুললেই তো চলবে না আরও নানা কাজ রয়েছে স্যাটো দম্পতির। তাই সন্তানের কান্নাকাটি থামিয়ে কীভাবে বাইরে বেরনো যায়, সেই চিন্তাভাবনা শুরু করলেন দু’জনেই।
বেশ কিছুক্ষণ ভাবনাচিন্তা করতেই মাথায় খেলে গেল অদ্ভুত পরিকল্পনা। তাঁরা ঠিক করলেন শিশুর মায়ের অনেকগুলি কাট আউট তৈরি করা হবে। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। দিব্যি কাট আউট তৈরি করা হল শিশুর মায়ের। পরীক্ষামূলকভাবে শিশুর আশেপাশে রেখে দেওয়া হল ওই কাট আউট। নিজের মনে খেলতে খেলতে ওই কাট আউটের দিকে চোখ রাখলেই খুশি খুদে। কান্নাকাটি তো দূর পরিবর্তে মাকে দেখে যেমন আচরণ করে সেরকমই করতে থাকে একরত্তি। ব্যস! সন্তান শান্ত মানেই বাবা-মায়েরও শান্তির শেষ নেই। দিব্যি কাট আউটের ভরসায় বাড়িতে খুদেকে রেখে কাজে বেরিয়ে পড়েন স্যাটো দম্পতি। আর বেচারা দুধের শিশুও প্রতিদিন মায়ের কাট আউট নিয়েই মজায় মেতে থাকে। এই ভিডিওটি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার হটকেক। খুদের বাবা-মায়ের কীর্তি দেখে অবাক হচ্ছেন সকলেই। তাঁদের বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারছেন না নেটিজেনরা।
結果、20分くらい気づかれず。これはたまには役立つかも…
— 佐藤ねじ🌲ブルーパドル (@sato_nezi) December 8, 2019
このパネルは、ビッグダミー(スーパーとかにある巨大なパネル)など、販促物をつくってるリンクスさんにお願いして、「ビッグマミー」をつくってもらいました🙏https://t.co/zLfGDZpiPa pic.twitter.com/zp5qiyqoRq
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.