Advertisement
Advertisement

Breaking News

Valentine's Day

গোলাপের বদলে সিঁদুর, প্রেম দিবসে প্রেমিকার সিঁথি রাঙাল একাধিক নাবালক! শোরগোল নদিয়ার গ্রামে

তাদের প্রত্যকের বয়স ১৩ থেকে ১৫-র মধ্যে।

On Valentine's Day, many minors marriage in village of Nadia
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 18, 2025 9:49 pm
  • Updated:February 19, 2025 12:17 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সদ্য পেরিয়েছে প্রেমের সপ্তাহ। শীতের বিদায় বেলায় প্রিয় মানুষকে মনের কথা বলেছেন অনেকে। বিবাহিতরা ফের নতুন রঙে রাঙিয়েছেন জীবনকে। তবে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে যা হয়েছে তা অবাক করে দেওয়ার মতো। গোলাপ দেওয়ার পরিবর্তে প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দিল প্রেমিকরা। এদিকে তারা প্রত্যেকেই নাবালক। প্রায় ৭ জোড়া নাবালক-নাবালিকা বিয়ে করেছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৩ থেকে ১৫-র মধ্যে। এমনকী তারা পালিয়েও গিয়েছে।

কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে নাবালিকাদের বিবাহ যেন প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে! স্থানীয়রা জানাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই দেখেছেন গত একমাসে ১০ জন নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। এইগুলো দেখার দায়িত্ব রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের। অথচ এই ধরনের ঘটনা সত্যিই তাঁরা জানতেই পারেন না। কৃষ্ণগঞ্জ প্রশাসনকে জানানো হলে তারা আইনত ব্যবস্থা নেয় নেন। নাবালকদের হোমেও পাঠানো হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ফিরে আসার পর আবার তারা একইভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। কারণ সচেতনতার বড়ই অভাব।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করবার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করলেও এই ব্লকে নাবালিকাদের বিয়ের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। আবার ঘুরপথে তারা সেই প্রকল্পগুলির সুবিধাও নিচ্ছে। কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস সেই কথা মেনেও নিয়েছেন। তিনি বলেন, “শুধু আইন করলেই হবে না মেয়ের পরিবার কেউ এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে।” স্থানীয় বুদ্ধিজীবী স্বপনকুমার ভৌমিকের কথায়, “সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত এই ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া। স্থানীয় আশা কর্মী সাবিত্রী বিশ্বাস বলেন, “নাবালিকাদের বিয়ের বন্ধের ব্যাপারে আমরা পরিবারের সঙ্গে মিটিং করে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। তা সত্ত্বেও নাবালিকাদের বিয়ে রোখা যাচ্ছে না।” স্থানীয় শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা খাঁ বলেন, “অল্প বয়সের মেয়েদের বিয়ের প্রবণতার বড় একটা কারণ স্থানীয় অঞ্চলে জায়গায় অবৈধ কাজ। বিয়ের পর তাদের সন্তান হবে সেই সন্তানের জন্যই সমাজে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাদের।”

কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপির নেতা অমিত প্রামাণিক নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা বাড়ার জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। কারণ সরকারিভাবে যে প্রচারগুলো হওয়ার কথা সেগুলো এলাকায় হয় না বলে তাঁর অভিযোগ। তাঁর দাবি, প্রয়োজনে সেমিনারের মাধ্যমে মেয়েদেরকে শিক্ষা দিতে হবে। অল্পবয়সে বিবাহ হলে তাদের কী কী সমস্যা হতে পারে এটাও বলতে হবে। এদিকে ভালোবাসার দিন যারা বিয়ে করেছে তাদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub