সুমন করাতি, হুগলি: বিয়েবাড়িতে বরের জুতো লুকিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনা তো সর্বজনবিদিত। সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেই এবার অভিনব কায়দায় দোকানের ক্যাশবাক্স লুট করল দুষ্কৃতীরা! কৌশলে দোকানদারের জুতো সরিয়ে নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা। অভিনব কায়দায় লুটের ঘটনা ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটরে। গোটা বিষয়টি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। যদিও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা।
হিন্দমোটরের বি বি স্ট্রিটে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের ওষুধের দোকান। বুধবার সকালে তাঁর বাবা বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দোকান খোলেন। এক ওষুধ কিনতে আসেন এক প্রৌঢ়। তাঁকে ওষুধ দেন বিপ্লববাবু। তারপর আরও একজন ক্রেতা আসেন। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেখেন, কিছুই না কিনে চলে যান। এখান থেকেই শুরু হয় লুটের ছক। আসলে ওষুধ কেনার অছিলায় ওই ব্যক্তি দেখে যান, দোকানের ক্যাশবাক্স কোথায় আছে। এরপর আরেকজন এসে দোকানের সামনে খুলে রাখা জুতো সরিয়ে ফেলে। এরপর তিনি দোকানে গিয়ে জানান, কুকুর জুতো নিয়ে গিয়েছে।
তা শুনে বাইরে বেরিয়ে বৃদ্ধ বিপ্লব মুখোপাধ্যায় দেখেন, দোকানের সামনে খুলে রাখা একপাটি জুতো নেই। তখন তিনি দোকান ফাঁকা রেখেই জুতো খুঁজতে চলে যান। সিসিটিভিতে সেইসব দৃশ্য ধরা পড়েছে। দেখা যায়, সেই যুবক বিপ্লববাবুর পিছু ধাওয়া করে। ফাঁকা দোকানে সেসময় আসেন সেই প্রৌঢ়, যিনি দোকান খোলার সময় ওষুধ নিতে এসেছিলেন। ফাঁকা দোকানে ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। ব্যবসায়ীর দাবি, হাজার দশেক টাকা ছিল বাক্সে। পুরোটাই হাতসাফাই করেছে দুষ্কৃতীরা।
দোকান মালিক মনোজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ”একটা গ্যাং এই কেপমারি করেছে। সকালে আমার বাবা দোকান খোলে। তখনই তারা টার্গেট করে। ওষুধ কেনার অছিলায় ক্যাশবাক্স কোথায় থাকে, সেটা দেখে যায় একজন। আরেকজন এসে জুতো সরায়। আরেক জন এসে বলে, কুকুরে জুতো নিয়ে গিয়েছে। তারপর বাবা দোকান ফাঁকা রেখে জুতো খুঁজতে যেতেই নগদ টাকার বাক্স সাফ করে যায় দুষ্কৃতীরা।” পুলিশের দাবি, সিসিটিভিতে যখন অপারেশনের খুঁটিনাটি চোখে পড়েছে, তখন দুষ্কৃতীদের নাগালে পেতে বেশি সময় লাগবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.