ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনা হোস্টেলের ভিতরের। তবু অন্ধকার নামলেই আতঙ্কে কাঁটা পড়ুয়ারা। যেন বদলে যায় গোটা চত্বর! ভয়ে গা ছমছম করে। এবং সেই অট্টহাস্য। যা শুনলে শিড়দাঁড়ার ভিতরে দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। ফলে রাত হলেই এক জায়গায় জড়ো হন আবাসিকরা। বাতিল একা চলাফেরা। এই ঘটনা ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মহাসমুন্দ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ বয়েজ হস্টেলের। আবাসিকরা জানিয়েছেন, হোস্টেলে ভূতের তাণ্ডবে জেরবার অবস্থা তাঁদের। আলোঝলমলে সভ্য শহরে এমনটা আদৌ সম্ভব?
মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হোস্টেলে মোট আবাসিকের সংখ্যা ৫৪। কাল হয়েছে গরমের ছুটি। অধিকাংশ পড়ুয়া ফিরে গেছেন বাড়িতে। বর্তমানে ৫-৬ রয়েছেন হোস্টেলে। তারপরেই ‘অতিলৌকিক’ গোলমাল। ফলে আতঙ্কে দিশাহার তাঁরা। আবাসিকদের দাবি, রাত গভীর হলেই হস্টেলে এক মহিলার অট্টহাস্য শোনা যায়। ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য নয় বুঝেও ভয়ে কাঁটা হন তাঁরা। কারণ একই জিনিস চলছে বেশ কয়েক দিন ধরে। তাছাড়া শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাননি তাঁরা। কয়েক জন পড়ুয়া দাবি করেছেন, দুমদাম আসবাব পড়ার শব্দও শোনা যায়। ছাদের উপর ভারী কিছু পড়ার শব্দ হয়। যদিও ছাদে গিয়ে দেখেছেন সেখানে কেউ নেই।
ছাত্ররা এত কথা বললেও কেউ তা বিশ্বাস করছেন না বলেই জানা গিয়েছে। যদিও খবর পৌঁছেছে কলেজের ডিনের কাছেও। ডিন ইয়াসমিন খান বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। ডিনের বক্তব্য, ছুটিতে বেশির ভাগ ছাত্র বাড়িতে চলে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ইচ্ছা করে এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ পেয়ে ‘ভূত’ খুঁজতে বেরিয়ে পুলিশের একটি দল রাতে হানা দেয় বয়েজ হোস্টেলে। তাঁরাও অট্টহাস্যের আওয়াজ পেয়েছেন। শব্দের উৎস খুঁজে পাননি। তবে পুলিশ সুপারের দাবি, এই কাজ ইচ্ছে করে কেউ করছে। দ্রত রহস্যের সমাধান করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.