Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বাধীনতা সংগ্রামে ভেসে গিয়েছিল সংসার, ৭২ বছর পর দেখা হল স্বামী-স্ত্রীর

গোটা ঘটনাটা জানলে অবাক হবেন।

Nonagenarian man meets wife
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:December 29, 2018 12:32 pm
  • Updated:December 29, 2018 12:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হৃদয়বিদারক পুনর্মিলন। ৭২ বছর পর দেখা হল স্বামী-স্ত্রীর। সেই ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ জেল হয়ে গিয়েছিল স্বামীর। কিন্তু প্রেমের কাছে হার মেনেছে সবকিছু। তাই তো ৯৩ বছর বয়সেও ফিরে এলেন স্বামী।

কেরলের বাসিন্দা ই কে নারায়ণ নাম্বিয়ার। ১৯৪৬ সালে, স্বাধীনতার ঠিক আগে ব্রিটিশদের কর দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন কৃষকরা। সেই দলে ছিলেন ১৭ বছরের নারায়ণের বাবা। তাঁর ‘অপরাধ’ বর্তায় ছেলের উপরও। জেল হয় তাঁর। পরের বছরই দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পাননি নারায়ণ। টানা আট বছর জেলে কাটান। তারপর বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ততদিনে নববধূর কথা হয়তো তাঁর আর স্মরণে ছিল না। ১৯৫৭ সালে নতুন করে বিয়ে করেন তিনি।

Advertisement

৬৫-তে কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন প্রৌঢ়া! খুশি ৮০ বছরের স্বামী ]

স্ত্রী সারদার অবস্থাও তথৈবচ। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। কিশোর স্বামীর কথা মনে চেপে বসার আগেই তাঁর বিয়ে অন্যত্র দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা শুরু করে পরিবার। অবশ্য তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না। বিয়ের ১০ মাসের মধ্যেই সারদার শ্বশুর রমন নাম্বিয়ার ব্রিটিশদের থেকে লুকিয়ে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করেন। তার ঠিক দু’মাস পরেই গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী নারায়ণকে। অভিযোগ, স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনিও যোগ দিয়েছে। ফলে জেল হয়ে যায় তাঁর। সারদাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাপের বাড়ি। এরপরও নারায়ণের খোঁজে বাড়িতে পুলিশ আসত। নারায়ণের ভাইপো মধু কুমার জানিয়েছেন, সেই সময় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এত কিছুর পর ঝুঁকি নিতে চায়নি সারদা।

এরপর কেটে গিয়েছে অনেক বছর। স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে নারায়ণের। সারদাও বিধবা। এদিকে সারদার ছেলে ভার্গবন ততদিনে বড় হয়ে গিয়েছে। নারায়ণের পরিবারের সঙ্গে ঘটনাক্রমে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। পারিবারিক ইতিহাস বলতে বলতে হঠাৎই বেরিয়ে আসে নারায়ণ-সারদার বিয়ের তথ্য। এরপরই দুই বুড়ো-বুড়িকে একত্র করার কাজ শুরু হয়। ভার্গবন বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন নারায়ণকে। কিন্তু বাদ সাধেন সারদা। তিনি কিছুতেই দেখা করতে রাজি নন। শেষে অনেক বুঝিয়ে তাঁদের দেখা করানো হয়। স্বামীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সারদা। ততক্ষণে চোখে জল নারায়ণেরও।

৯৩ বছরের পুরনো হাড়ে যৌবন আর নেই নারায়ণের। বয়সের কারণে শরীর ভেঙেছে সারদারও। কিন্তু ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’।

ভারতের এই গ্রামে রয়েছে নিজস্ব আইন, পৃথক অর্থনীতি এবং আলাদা সমাজব্যবস্থা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement