সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাক দেখলে অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নেন। এদেশে কর্কশ-কণ্ঠী পাখিটিকে যমের দূত হিসেবে দেখা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কাকের ডাক শুনলে তা অমঙ্গলের লক্ষ্মণ হিসেবেই গণ্য করা হয় এদেশে। সম্মান দেওয়া তো দূর কি বাত, অনেকে কাকেদের ছায়া মাড়াতেও ভয় পান। কর্কটকণ্ঠীদের খাবারও জোটে না, দিন গুজরান হয় উচ্ছিষ্ট খেয়েই। এ হেন দাঁড়কাককে দেবজ্ঞানে পুজো করা হয় আমাদেরই প্রতিবেশী দেশে। হিন্দুপ্রধান নেপালে দিওয়ালির আগেই পালিত হয় কাগ-তিহার বা কাক উৎসব।
দিওয়ালির শুরুর আগেই নেপালে কাক উৎসব শুরু হয়। কাক নেপালে পবিত্র পাখি হিসেবেই পূজিত। দিওয়ালির উৎসব ছোট্ট দেশটিতে পালিত হয় পাঁচদিন ধরে। প্রথম দিনই পালিত হয় কাক-তিহার। নেপালিতে তিহার কথাটির অর্থ উৎসব। কাক পুজো থেকে শুরু করে কাকেদের বিশেষ খাবার দেওয়া সবই রয়েছে উৎসবের রীতিতে। স্থানীয়রা বলছেন, এই কাক উৎসব শতাব্দী প্রাচীন প্রথা।
তবে, শুধু কাক উৎসব নয়। শতাব্দী প্রাচীন রীতি অনুযায়ী পাঁচদিনের দিওয়ালির মরশুমে কাক থেকে শুরু করে গরু পর্যন্ত একাধিক জীবজন্তুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। দিওয়ালির একদিন আগে অর্থাৎ চতুর্দশীর দিন থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। প্রথম দিন কাক উৎসব, দ্বিতীয় দিন কুকুর উৎসব, তৃতীয় দিন পালিত হয় গোরু উৎসব। চতুর্থ দিনটি পালিত হয় ষাঁড় উৎসব হিসেবে। অনুষ্ঠান শেষ হয় ভাইফোঁটা দিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.