সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালগ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের সীমা-পরিসীমা নেই। আর থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, পৃথিবীর পর যদি কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে তাহলে সেটা মঙ্গল। এমনকি মঙ্গলে একসময় জল ও অক্সিজেনের অস্বিত্ব ছিল বলেও ধারণা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের। তাঁরা মনে করেন প্রাণের স্পন্দন থাকার সবরকম উপকরণই মজুদ আছে মঙ্গলে। আর সেকারণেই মঙ্গলকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলে। আর এই যমজ গ্রহে মানুষ পাঠানো নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। কিন্তু কতদিনে মঙ্গলে মানুষ পাঠানো সম্ভব? নাসা জানিয়ে দিল অন্তত ২৫ বছরের মধ্যে তা সম্ভব নয়। অনেক জটিল বাধা রয়েছে এই পথে। তবে গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, আশা করা যায়া আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই মঙ্গলের মাটিতে পা রাখবে মানুষ।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এখন চাঁদে মানুষ পাঠানোর মূল অন্তরায় শারীরিক সমস্যা এবং দূরত্ব। বর্তমান যা প্রযুক্তি আছে এই প্রযুক্তিতে মানুষ পাঠাতে গেলে মহাকাশচারীদের হাড়ে চিড় ধরতে পারে, মহাজাগতিক রশ্মিতে ক্ষতি হতে পারে, এমনকী দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ১৪ কোটি মাইল। বর্তমান রকেট প্রযুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলে পৌঁছাতে একজন মহাকাশচারীর সময় লাগবে অন্তত ৯ মাস। এত দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে ভেসে থাকা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অত দীর্ঘ সময় মহাকর্ষের বাইরে থাকলে শিরা-উপশিরা এবং রেটিনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
টম জোনস নামে নাসার প্রাক্তন এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলছেন, অনেক জটিলতা আছে তবে আমাদের এখন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির উপর কাজ করতে হবে। আর তা বর্তমান বাজেটে সম্ভব নয়। বাজেট বাড়ানো হলে আশা করা যায় ২৫ বছরের মধ্যেই আমরা এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.